ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস - ভালোবাসা দিবসের গুরুত্ব
শীতের পিঠার সুস্বাদু রেসিপি এবং পায়েসবিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে হয়তো অনেকে বলতেই পারবেন না। কিন্তু যখন আপনি ভালোবাসা দিবসে আমোদ প্রমোদ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তখন নিশ্চয়ই এর সত্যিকার প্রচলিত ইতিহাস জেনে রাখাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
হয়তো ভালোবাসা দিবসের সেই ঘটনা না থাকলে এই দিনটি উদযাপিত হতো না। এমন একটি করুণ প্রেমের ইতিহাস এর পিছনে লুকিয়ে আছে যা থেকে আজকের ভালোবাসা দিবস আমরা উদযাপন করে থাকি।
পেইজ সূচিপত্র
- ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকারের ইতিহাস
- ভালোবাসা দিবসের ইতিহাসের আসল ঘটনা
- ভালোবাসা দিবস নিয়ে ইতিহাসে যত কথা
- ভালোবাসা দিবসের লুকানো যত ইতিহাস
- ভালোবাসা দিবস কিভাবে নামকরণ করা হয়েছে
- ভালোবাসা দিবস উদযাপনের গুরুত্ব কতোটুকু
- ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয়
- ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে ইসলাম কি বলে
- ভালোবাসা দিবসে কেন গোলাপফুলের দাম বেশি
- ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের প্রাইস কত
- ১৪ ফেব্রুয়ারি কি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস
- শেষের মন্তব্য
ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকারের ইতিহাস
ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস কখনো কি জানতে ইচ্ছে হয়েছে? শুধু প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস পালন করে গেলেন। কিন্তু এর উৎপত্তি কোথা থেকে সেটি একটি বারও স্মরণ করলেন না। অর্থাৎ পুরোনো ইতিহাস কয়েক শতাব্দী ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে। অনেকে আবার মনে মনে এটিও ভাবতে পারেন যে ভালোবাসা দিবস পালন করার কি দরকার। আসলে ঠিক তা নয় আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি দিনই হয়ে উঠুক ভালবাসা দিবসের মুহূর্তের মত।
আরো পড়ুনঃ ১১টি শীতের মজাদার পায়েস একই সাথে
যদি সত্যিকারের ইতিহাসটি বুঝতে পারেন তাহলে হয়তোবা ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে শ্রদ্ধা আপনার মনে জেগে উঠবে। কথিত আছে ভ্যালেন্টাইন ডে অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসে এমন কেউ একজন ছিলেন যার ইতিহাসকে টেনে নিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হয়ে আসছে। ভালোবাসা দিবস নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলে থাকেন। কিন্তু সত্যিকারের ইতিহাসে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে এক রোমান ক্যাথলিক ছিলেন যিনি ছিলেন অত্যন্ত আধ্যাত্মিক সাধনার অধিকারী।
পাশাপাশি তিনি একজন ধর্মযাজক হওয়ার কারণে চিকিৎসা বিদ্যায়ও পারদর্শী ছিলেন। এই সময় তিনি তার খ্রিস্টধর্ম প্রচার প্রসারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়কার রোমানদের যিনি সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় ক্লডিয়াস তিনি বিশ্বজয় করে রোমানদের জন্যে একের পর এক রাজ্য জয় করে চলেছেন। ঠিক সেই সময়ে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যালেন্টাইন ডে খ্রিস্টীয় ধর্ম ছেড়ে ক্লডিয়াস এর ধর্ম মেনে নেওয়ার জন্যে চাপ প্রয়োগ করেন। কারণ দ্বিতীয় ক্লডিয়াস সেই সময়ে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করত।
শুধু তাই নয় সেই সময়ে যুদ্ধের জন্যে অনেক বড় শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করার প্রয়োজন ছিল। ক্লডিয়াস সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্যে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি প্রত্যেক যুবককে বিয়ে করা নিষিদ্ধ করলেন। এই অবস্থায় ভালোবাসা ঠিক রাখতে তরুণরা এই আইন মানতে পারে না। এই সময়ে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন প্রেমে আবদ্ধ তরুণ তরুণীদের একসাথে করে সবাইকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। খুব তাড়াতাড়ি এই গোপন ব্যাপারটি ক্লডিয়াস এর সামনে ধরা পড়ে যায় ভ্যালেন্টাইন কে বন্দি করা হলো।
ভ্যালেন্টাইন এর ভক্তরা কারাগারে তাকে দেখার জন্যে মাঝে মাঝে ফুল নিয়ে যেত। এমনকি কারাগারে থাকা কারারক্ষীর একটি অন্ধ মেয়ের চোখ ভ্যালেন্টাইন সুস্থ করে ফেলেছিল। পরবর্তীতে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে। এই অবস্থায় মেয়েটি সেই ভ্যালেন্টাইনের প্রেমে পড়ে যায়। পরবর্তীতে যখন ক্লডিয়াস এর কাছে এই সংবাদ পৌঁছে যায় তখন ভ্যালেন্টাইন কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ভ্যালেন্টাইন এর শেষ একটি চিঠিতে লেখা ছিল লাভ ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন। আর সেই দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরবর্তীতে ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ গেলাসিয়াস প্রথম ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে ঘোষণা করেন।
ভালোবাসা দিবসের ইতিহাসের আসল ঘটনা
ভালোবাসা দিবসের আসল ঘটনা যা তৃতীয় শতকে রোমের শাসনকালকে মনে করিয়ে দেয় সেই সময়কার সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস যিনি রাজ্য শাসন করতেন। তিনি রোমের জন্যে একের পর এক রাষ্ট্র জয় করে চলেছিলেন। ঠিক সেই অবস্থায় ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চারিদিকে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু তা সম্রাট ক্লডিয়াসের পছন্দ ছিল না। ক্লডিয়াস ধর্মযাজক ভ্যালেন্টাইন কে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করার জন্যে নির্দেশ দেয়।
কিন্তু ভ্যালেন্টাইন এটি মোটেও মেনে নেয়নি। যার ফলে তাকে পরবর্তীতে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় দূর দূরান্ত থেকে তরুণ তরুণীরা তার জন্যে ফুল উপহার হিসেবে নিয়ে আসতো। কারারক্ষীর মেয়ে অন্ধ হওয়ার কারণে তার চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছিল ভ্যালেন্টাইন। অসীম আধ্যাত্মিক শক্তি থাকার ফলে খুব সহজেই আইন ভেঙে দিয়ে যুবক যুবতিদের বিবাহ সম্পন্ন করেছিলেন। তারপরে পরবর্তীতে ভ্যালেন্টাইন কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
ভ্যালেন্টাইন যখন ফাঁসির মঞ্চে প্রবেশ করবেন ঠিক তার কিছু সময় পূর্বে তিনি তার প্রিয়াকে একটি শেষ চিঠি লিখেছিলেন। যার মধ্যে লেখা ছিল লাভ ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন। এই চিঠিটি ভ্যালেন্টাইন যেইদিন লিখেছিল তার তারিখ ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। যুগ যুগ ধরে এই ১৪ ফেব্রুয়ারি মানুষের হৃদয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে পরিচিতি হয়ে আসছে। তবে ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস এর পরিচিতি হওয়ার পূর্বে ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ গেলাসিয়াস সর্বপ্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে ঘোষণা করেছিলেন।
পরবর্তীতে ১৭০০ শতাব্দীর দিকে জনপ্রিয়ভাবে ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হওয়া শুরু হয় যা সর্বপ্রথম ব্রিটেনে কার্ড বা উপহারের মাধ্যমে শুরু করেছিল। সারা বিশ্বের সবচাইতে পুরনো ভ্যালেন্টাইন যেই কার্ডটি রয়েছে, সেটি লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রাখা রয়েছে। প্রথম দিকে এই ভালোবাসা দিবস উদযাপনের সীমাবদ্ধতা ইংল্যান্ডের রাজকীয় পরিবার এবং অভিজাত সমাজে এটি পালিত হতো। কিন্তু পরবর্তীতে এটিকে উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের জন্যে চকলেট, ফুল কার্ড, অলংকারসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী দেওয়া হয় যা এখন বিশ্বব্যাপী মানুষের হৃদয়ের গভীরে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভালোবাসা দিবস নিয়ে ইতিহাসে যত কথা
ভালোবাসা দিবস নিয়ে ইতিহাসের কথা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। কারণ এটি খুবই হৃদয়বিদারক একটি ইতিহাস। যদিও ভালোবাসার জন্যে নির্দিষ্ট কোন দিন তারিখের প্রয়োজন হয় না। বছরের প্রত্যেকটি দিন প্রত্যেকটি মুহূর্তই ভালবাসার দিন হতে পারে। তবে মানুষজন ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সেই ইতিহাসের কথা স্মরণে রেখে প্রতীক হিসেবে পালন করে থাকে। ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস এর পাতায় যেই সকল কথাগুলো উল্লেখিত রয়েছে চলুন তার সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
- প্রেমিক সেন্ড ভ্যালেন্টাইন যিনি একই সাথে একজন ধর্মযাজক অর্থাৎ চিকিৎসক, শিশু, প্রেমিক এবং সমাজসেবক হিসেবে বেশ স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
- যেহেতু তিনি একজন খ্রিস্টধর্মের অনুসারী ছিলেন। তাই একজন ধর্মযাজক হিসেবে তিনি তার ধর্মকে প্রচার করার চেষ্টা করতেন।
- কিন্তু সেই সময়কার সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিল হৃদয়হীন। সে দেবদেবীর পূজা করতে অনেক বেশি পছন্দ করত।
- ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে ক্লডিয়াস দেবদেবীর পূজা করার জন্যে খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।
- এই অবস্থায় প্রেমিক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দেবদেবীর পূজা করবেন না বলেই জানিয়ে দেন।
- এই অস্বীকৃতি জানানোর ফলে সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ক্ষুব্ধ হয়ে যান।
- ভালেন্টাইন কে বন্দি করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
- পরবর্তীতে ক্লডিয়াসকে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আদেশ করেন।
- প্রেমিক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে।
- অনেকেই বলে থাকেন খ্রিস্টের জন্মগ্রহণের প্রায় ২৭০ বছর পর প্রেমিক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর মৃত্যু হয়েছিল।
ভালোবাসা দিবসের লুকানো যত ইতিহাস
ভালোবাসা দিবসের লুকানো ইতিহাস যা রোমান সম্রাট তৃতীয় ক্লডিয়াসের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। হয়তো প্রতিবছর আপনি প্রিয়জনের সাথে ভালোবাসা দিবস পালন করে আসছেন। কিন্তু ইতিহাস সম্পর্কে কতোটুকু জানেন? হারিয়ে যাওয়া সেই লুকানো ইতিহাস প্রতিটি প্রেমিকদের হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করেছে যা এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রেখেছে। ২৬৯ সালে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে নিয়ে এই বিরল ঘটনা সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়কার রাজা রোমান সম্রাট ছিলেন।
ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস বলছে যার কারণে তিনি খ্রিস্টান ধর্মযাজক সমাজসেবক এবং চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর মত এক যুবক যখন ধর্ম প্রচারে ব্যস্ত তখন পছন্দ করলেন না যার ফলে তাকে আদেশের মাধ্যমে কারাগারে নিক্ষেপ করলেন। যুবক সেনাদের বিয়ে করার নির্দেশ না দেওয়া সত্ত্বেও ভ্যালেন্টাইন যখন তাদের বিবাহ সম্পন্ন করছিলেন, তখন ভ্যালেন্টাইন কে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে দিলেন যার ফলে সম্রাট যুবক ভ্যালেন্টাইন কে ফাঁসির নির্দেশ দেন।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন আধ্যাত্মিক চিকিৎসার মাধ্যমে কারারক্ষীর মেয়ে অন্ধ জুলিয়াকে সুস্থ করে তুলেছিলেন এবং পরবর্তীতে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা দিয়েছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই ভ্যালেন্টাইন এবং জুলিয়ার মধ্যে এক গভীর প্রেমের সৃষ্টি হয় যার ফলে ধীরে ধীরে প্রেমে পড়ে যান। নির্বিকার যুবক ভেলেন্টাইন যখন ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছিলেন তখন জুলিয়াকে একটি বিশেষ চিঠি দিয়েছিলেন যার মধ্যে লেখা ছিল "তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে" যা আজও সংরক্ষিত রয়েছে।
ভালোবাসা দিবস কিভাবে নামকরণ করা হয়েছে
ভালোবাসা দিবসের নামকরণ শুরু হয়েছিল একজন বিখ্যাত সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ধর্মযাজকের মাধ্যমে যিনি এমনভাবে তার জীবনের গল্পকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আজও রয়ে গেছে। মানুষ চাইলেও এখন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে ভুলতে পারে না। কারণ তার ভালোবাসা এখন অমর হয়ে আছে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যাকে সকলেই প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করত। তিনি খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বী ছিলেন যার তৃতীয় শতাব্দীর দিকে এমনকি তিনি পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
যার ফলে পরবর্তীতে সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস তিনি প্রত্যেক যুবক যুবতীদের বিবাহ সম্পন্ন করেছিলেন। তার সেনাবাহিনীতে যদি কোন বিবাহিত পুরুষ নেওয়া হয় তাহলে অনেক বেশি খারাপ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন সেই আইন অমান্য করার কারণে তাকে পরবর্তীতে ফাঁসি নির্দেশ দিয়েছিল। শুধু তাই নয় ভ্যালেন্টাইন এখন সকলের হৃদয়ে মহানায়ক হয়ে আছে। তাকে স্মরণ করে রাখতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। অভিজাত অথবা সর্বসাধারণ থেকে শুরু করে রাজকীয় পরিবার সকলেই অত্যন্ত সম্মানের সাথে পালন করে থাকে।
ভালোবাসা দিবস উদযাপনের গুরুত্ব কতোটুকু
ভালোবাসা দিবস উদযাপনের গুরুত্ব জেনে হয়তো আপনি আশ্চর্য হবেন। কারণ এটি এমন একটি জাদুকরী দিবস যা প্রেমিক প্রেমিকাদের মনে নতুন করে ভালবাসার জন্ম দেয়। তবে আপনি যদি ভালোবাসা দিবস প্রতিবছরই উদযাপন করে থাকেন তাহলে এই দিনের অনুভূতি আপনি খুব সহজেই অনুভব করতে পারবেন। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন এটা এমন কি গুরুত্বপূর্ণ হবে? কিন্তু আপনি এটিকে যতটা কমই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না কেন সারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এই দিনকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তাই ভালোবাসা দিবসের গুরুত্ব অনেক বেশি। লোকজন এই দিনে প্রিয় ব্যক্তির সাথে একটু আলাদাভাবে সময় কাটাতে পছন্দ করেন যা অন্য সময়ের চেয়ে একেবারেই আলাদা। আবার অনেকে হয়তো এই রকমটা ভেবে থাকেন যে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করার কোন মানেই হয় না। এটাই সামাজিকভাবে নেতিবাচক কোন প্রভাব ফেলে না কিন্তু মোটেও এটি উচিত নয়। আপনাকেই সেই সঠিক গুরুত্বগুলো বুঝিয়ে দিতে ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনুভবগুলো চলুন দেখে নেওয়া যাক।
- যখন ভালোবাসা দিবস বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয় তখন এটি সারা বিশ্বেই অত্যন্ত জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়।
- বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ দেশে ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস এর কারণে ভ্যালেন্টাইনস ডে ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
- যেই দেশগুলোতে ঐতিহ্য এবং রীতিনীতি সঠিকভাবে পালন করা হয় সেই সকল দেশগুলো খুবই সম্মানের সাথে ভালোবাসা দিবসকে পালন করে থাকে।
- যদিও অনেকে মনে করে থাকেন এটি আমেরিকান একটি ছুটির মতো পালিত হয়ে আসছে।
- ফিলিপাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয়ভাবে চৌদ্দ ফেব্রুয়ারিকে বিবাহ করার দিন হিসেবে জনপ্রিয় মনে করা হয়।
- এই দিনটিতে বিবাহ করার জন্যে অনেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে থাকেন যা খুবই মজার বিষয়।
- ফিলিপাইনে স্থানীয় যারা রয়েছেন তারা ভালোবাসা দিবসে নাম দিয়ে টুপি বানায় এবং টুপিতে গোপন ভাবে আঁকা আঁকি করে।
- অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে তারা তাদের প্রিয় ব্যক্তির জন্যে উপহার কিনে থাকে।
- জার্মানদের একটি রীতি রয়েছে তারা প্রিয়জনকে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে শূকর উপহার দেয়।
- শুধু তাই নয় পেরুভিয়ানরা ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সম্মানের সাথে গ্রহণ করে নিজের প্রিয়জনের জন্যে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
- এমনকি ফিনল্যান্ডে ভালোবাসা দিবসের গুরুত্ব অত্যন্ত রোমান্টিকভাবে বন্ধুদের সাথে পালন করে থাকে।
- যদি আপনার কাছে মনে হয় ভালেন্টাইনস ডে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে সাংস্কৃতিকভাবে আপনি এটিকে পালন করতেই পারেন।
- হয়তো আপনি অনেক বেশি পরিমাণে চাপে থাকতে পারেন। কিন্তু প্রেম এবং স্নেহ প্রদর্শন বছরে একটি দিন এর জন্যে সঞ্চয় করতে পারেন।
- ভালোবাসা দিবস প্রতিটি প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্যে আবেগপ্রবণ এবং উত্তেজনাপূর্ণ একটি দিন। যা জীবনের অধিকাংশ সমস্যাগুলোকে দূরীভূত করতে অনেক বেশি সাহায্যে করে থাকে।
- যাদের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে মনোমালিন্য হয় তারা এই দিনটিকে পরিপূর্ণ ভালবাসায় রূপদান করতে পারে।
- যখন আপনি খেয়াল করলে দেখবেন অন্যান্য দম্পতিরা খুব মজা করে ছুটি উদযাপন করছে, তখন আপনার সেই মুহূর্তকে দেখে খারাপ লাগতেও পারে।
- তাই নিজের মনকে খুব প্রফুল্ল রাখতে আপনি ভালোবাসা দিবসে আপনার প্রিয়জনের সাথে রোমান্টিক ভাবে দিনটিকে পালন করতে পারেন।
ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয়
ভালোবাসা দিবসের অনুভূতি উদযাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ভালোবাসা দিবসকে যেভাবে পালন করা হয় তার প্রশ্ন অনেকের কাছে কৌতূহল মনে হতে পারে। যদি আপনি খুব ভালোভাবে চিন্তা করেন তাহলে হয়তো পূর্বে ইতিহাস খুঁজে পাবেন না। কিন্তু এই ভালোবাসা দিবস পালনের পেছনে ভালো প্রেমিকের জীবন ত্যাগের কাহিনী রয়েছে। ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস এর প্রচলিত কথা অনুযায়ী রোমের একজন ধর্ম যাজক ছিলেন যার নাম ছিল সেন্ট ভ্যালেন্টাইন যিনি একজন প্রেমিক এবং খ্রিস্টধর্ম প্রচারক ছিলেন।
প্রেমিক ভ্যালেন্টাইন সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের সময়ে দেবদেবীর পূজায় বিশ্বাস করতেন না। যেহেতু তিনি একজন খ্রীষ্টধর্ম প্রচারক ছিলেন তাই তিনি তা মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন। অনুভূতিতে রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘন করার জন্যে ভ্যালেন্টাইন কে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় যা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর জন্যে সম্রাটের দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞা যুবক যুবতীরা মেনে নিতে পারেন নি। কারণ সম্রাট ক্লডিয়াস তখনকার সময়ে এক বিশাল শূন্য বাহিনী তৈরি করেছিলেন। যেখানে তার সেনাবাহিনীতে কেও যোগদান করলে বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল।
তাই যুবক যুবতীরা তার প্রতি খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ে গির্জায় গোপনে ভ্যালেন্টাইন যুবক যুবতীদের বিবাহ পড়ানোর কাজ করে যেতেন। মোমবাতির অল্প আলো দিয়ে ভ্যালেন্টাইন ফিসফিস করে মন্ত্র পড়ে বিয়ে পড়াতেন। একসময় যখন সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে এই বিয়ের সংবাদ পৌঁছে যায়, তখন ভ্যালেন্টাইন কে হাত পা বেঁধে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে সম্রাটের সামনে হাজির করে তার সামনে হত্যার নির্দেশ করা হয়। এই সময় থেকে আজ অবধি পর্যন্ত ইতিহাসকে স্মরণে রেখে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে ইসলাম কি বলে
ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে ইসলামের কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যুবক যুবতীরা প্রেমের টানে যখন অবিবাহিত অবস্থায় ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে যেয়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিকে অনুকরণ করছে, তখন তা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং হারাম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা বিবাহের পূর্বে মোটেও কাম্য নয়। যদিও প্রেম ভালোবাসা ইসলামের নীতি এবং আদর্শ এর মধ্যে রয়েছে। তাই এই পোস্টটি যৌনাচারের সাথেও ইসলাম তুলনা করে থাকে। যারা বিবাহিত রয়েছে তাদের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা।
ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস জেনে এর মধ্যে যদি প্রেম, ভালোবাসা, মহব্বত, মায়া মমতা এই মানবিক গুণাবলীগুলো বিদ্যমান থাকে তাহলে খুব সহজেই পরিপূর্ণ প্রেমিক অথবা প্রেমিকা হয়ে উঠতে পারেন। সত্যিকারের ভালোবাসার অভাবে যাদের মধ্যে হিংসা, খুন, ধর্ষণ এর মত ভয়াবহ অপরাধ সংগঠিত হয় তার সম্পর্কে ইসলাম সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ ভালবাসার অভাবেই একজন মানুষ নিষ্ঠুর এবং অত্যাচারী হয়ে উঠতে পারে। যদিও ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবীতে কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
মহান আল্লাহ পাক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছিলেন যে, আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে ভালোবাসা এবং রহমত দিয়ে পাঠিয়েছি। যারা অনেক বেশি চিন্তাশীল এবং জ্ঞানী। তাদের মধ্যে ভালোবাসা এবং অনুগ্রহ পরস্পরের মধ্যে বজায় থাকে এবং সর্বসময় শান্তি বিরাজ করে যদিও আল্লাহতালা ঘোষণা করেছিলেন যে, তার ক্ষুদ্রতম সবচাইতে বড় নিদর্শন হচ্ছে তিনি প্রত্যেক পুরুষের জন্যে তাদের থেকে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন। যাতে তারা শান্তিতে বসবাস করতে পারে এবং প্রত্যেকের মধ্যে ভালোবাসা এবং অনুগ্রহ সৃষ্টি হয়। তাই ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহকারে প্রত্যেক স্বামী এবং স্ত্রীর জন্যে নতুন করে ভালোবাসা সৃষ্টির আবির্ভাব হিসেবে উপলব্ধি করার সুযোগ দিয়েছে।
ভালোবাসা দিবসে কেন গোলাপফুলের দাম বেশি
ভালোবাসা দিবসে ফুলের রানী গোলাপ ফুল যা সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে যুগ যুগ ধরে ভালোবাসার নিদর্শনকে বহন করে আসছে। যদিও গোলাপ ফুলের রানী হওয়া সত্ত্বেও গোলাপের চেয়েও দামের দিক থেকে অনেক বেশি দামের মূল্যের কিছু ফুলও বাজারে রয়েছে। তবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে এই ফুলের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের দাম কেন অন্যান্য ফুলের থেকে একটু বেশি থাকে।
- ভালোবাসা দিবসে প্রতিটি লাল গোলাপ বিক্রি হয় দ্বিগুণ দামে। যতই বেলা গড়িয়ে সকাল হয় ততই ফুলের দামও যেন বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শাহবাগের প্রতিটি ফুলের দোকানে অন্যান্য ফুলের থেকেও লাল গোলাপের দাম একটু বেশি।
- সাধারণ খোলা গোলাপ যদি আপনি কিনতে চান তাহলে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এর মধ্যে পেয়ে যাবেন। আবার দেখা যায় চায়না কিছু ফুল রয়েছে যেইগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার বেশি নয়। তবে কখনো কখনো গোলাপের দাম বেড়ে ২০০ টাকা পর্যন্তও হতে পারে।
- ভালোবাসা দিবসে উপহারের জন্যে শুধু গোলাপি নয় রয়েছে রজনীগন্ধা, কেলেনডোলা, লিলিয়াম নামে আরও অনেক রকমের ফুল যার দাম অনেক বেশি বেড়ে যায়। এমনকি এটি কয়েকশো টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত চলে যায়। কারণ ফুলের গোছা অনুযায়ী দাম বাড়তে বা কমতে পারে।
- যখনই ভ্যালেন্টাইন চলে আসে তখন অতিরিক্ত দামে যখন ফুলগুলো বিক্রি হয়, তখন অনেক ক্রেতাদের কাছে যদিও ভালো লাগে না। কোন উপায় থাকে না কারণ যথেষ্ট পরিমাণে ফুলের সংকট থেকে যায়।
- শুধু শহরেই নয় বিভাগীয় বিভিন্ন শহর বা গ্রামেও ফুলের দাম অস্বাভাবিকভাবে ভালোবাসা দিবসে বেড়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ অনেকেই বলে থাকেন ফরিদপুরে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে হঠাৎ করে ফুলের দাম বেড়ে যায়।
- যেহেতু বাজারে ফুলের সরবরাহ কম দেখা যায় তাই বাড়তি টাকা পাওয়ার জন্যে ব্যবসায়ীরা এই রকম কাজ করে থাকেন। একাধিক অন্যান্য আরও ফুল ব্যবসায়ীরা বলে থাকেন।
- বিশেষ করে ফরিদপুরে নিউমার্কেটের সামনে থেকে ফুল বিক্রেতারা বলেন যে, যেই ফুল তারা ১০০ টাকা করে কিনে পিস বিক্রি করে সেটি বারোশো টাকা থেকে বেড়ে অনেক টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়।
- কারণ যখন ঘন কুয়াশা পড়ে তখন অনেক সময় ফুলের উৎপাদন কমে যায় যার ফলে দাম একটু অন্যান্য সময় থেকে বেশি থাকে।
- অনেকেই প্রতিবছর ভালোবাসা দিবসের অজুহাত দেখিয়ে ফুলের দাম বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে প্রত্যেকটি ফুলের দাম পূর্বের দিন এক দামে বিক্রি হলেও পরের দিন ৩৫ টাকা থেকে ১০০ অথবা ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়।
ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের প্রাইস কত
ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের প্রাইস প্রচলিত নীতি অনুযায়ী অন্যান্য সময় থেকে একটু বাড়তি থাকে। যার ফলে অনেকেই নিজের ভালোবাসাকে জানান দেওয়ার জন্যে বেশি দাম দিয়ে ফুল কিনে বাড়ি নিয়ে যায়। একদিকে ভালোবাসার মুহূর্ত এবং অন্যদিকে গোলাপ ফুল যা একেবারেই মিলে একাকার হয়ে যায়। রাজধানী শাহবাগের দিকে প্রতিটি ফুলের দোকানে গোলাপ ফুল কিনতে হলে সাধারণ সময়ে ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে কিনে ফেলতে পারে।
কিন্তু ভালোবাসা দিবসে শাহবাগের মার্কেটগুলো ঘুরে ফুলের দাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে আসতে পারেন। ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের চাহিদা থাকবেই সাদা এবং হলুদ গোলাপের দাম বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হয়। যদি একদিন আগের ফুল কিনতে চান বা পূর্বে নেতিয়ে পড়া ফুল কিনতে চান তাহলে অল্প দামে কিনতে পারবেন। কিন্তু তাজা ফুল কিনতে হলে আপনাকে বেশি দাম দিয়ে গোলাপ ফুল কিনতে হবে। ফুলের মার্কেটে আপনি সবচাইতে বেশি দামের ফুলের মধ্যে লিলি ফুল দেখতে পাবেন।
ফুলের মধ্যে সাদা সবুজ এর ডাটা কিনতে গেলে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আপনাকে গুনতে হতে পারে। যদি আপনি বড় অর্কিডের দামে ফুল কিনতে চান তাহলে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত আপনাকে খরচ করতে হতে পারে। আপনি যেই ফুলই কিনেন না কেন আপনাকে অনেক দাম দিয়ে কিনতে হবে। কিন্তু ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের চাহিদা সব ধরনের ফুলের থেকে অনেক বেশি। তাই যখনই বাজারে ভালোবাসা দিবসে ফুল কিনতে যাবেন তখন খুব ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে তাজা ফুল কেনার চেষ্টা করবেন। তবে অবশ্যই আপনার বাজেট অনুযায়ী ফুল কিনতে যাবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি কি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস
ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি যা ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে উদযাপন করা হয়। প্রতিটি পরিবারে বাবা মা, স্বামী, স্ত্রী, ভাইবোন সকলেই ভালবাসার টানে মিলিত হয়। যদিও পূর্বে ভ্যালেন্টাইনস ডে যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্য বিভিন্ন দেশে পালিত হতো যা উৎসব এর মত বিশেষ করে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিড় লেগেই থাকতো। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে কিভাবে আবির্ভূত হলো চলুন সেই ব্যাপারে একটু বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ মুখে টমেটোর পেস্ট লাগিয়ে অপকারিতার শিকার
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন প্রেমিক ছিলেন যিনি একজন খ্রিস্টান পাদ্রী এবং চিকিৎসক। ধর্ম প্রচার করার অভিযোগের কারণে তাকে রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ধর্মপ্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। যার ফলে তাকে সেই সময় বন্দী করে কারাগারে রাখা হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন এক মেয়ের চিকিৎসা করে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। যার ফলে ভ্যালেন্টাইন যেহেতু খুব বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন সম্রাট তাকে তখন মৃত্যুদণ্ড ১৪ ফেব্রুয়ারিতে জারি করেছিল।
ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস সেই সময় ৪৯৬ সালে স্মরণ করে রাখার জন্যে পোপ সেন্ট জেলাসিউও প্রথম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন কে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। ভ্যালেন্টাইন এর মৃত্যুদণ্ডের কারণে যুগ যুগ ধরে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেক প্রেমিক যুগল পালন করে আসছে। যার ফলে এটি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালন করে থাকে।
শেষের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, প্রতি বছরই ভালোবাসা দিবস প্রতিটি মানবের জন্যে আশীর্বাদ হয়ে ফিরে আসে। যদি ভালোবাসা দিবস নামকরণের সত্যিকার ইতিহাস এবং ভালোবাসা দিবসের গুরুত্ব বুঝতে পারেন, তাহলে এই দিবসটি আপনার জন্যে আরও স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন। কারণ এই ঘটনা প্রত্যেক প্রেমিকের মনে নতুন করে ভালবাসার জন্ম দিবে। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের শেয়ার করতে পারেন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে পাশেই থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url