গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় গোপন টিপস

পেইজ সূচিপত্র

• পরিমিত জাফরান দুধ পানঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় গোপন টিপস এর প্রথমটির একটি হলো জাফরানের সাথে পরিমিত পরিমাণে দুধ মিক্স করে খাওয়া। যা খেলে গর্ভের বাচ্চার গায়ের রঙ ধীরে ধীরে ফর্সা হয়ে উঠে।
• নারিকেলের সাথে মিক্স করে দুধঃ নারিকেলের মধ্যে থাকা সাদা শাঁস আপনার গর্ভের বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে পারে। তবে খাওয়ার পূর্বে এর সাথে দুধ মিক্স করে নিতে পারেন।
• চেরি এবং বেরি জাতীয় ফলঃ যেহেতু গর্ভাবস্থায় উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রয়োজন হয়। তাই ত্বক ফর্সা করতে চেরি এবং বেরি জাতীয় ফল খেতে পারেন। এর সাথে স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং ব্লুবেরি জাতীয় ফল ত্বক ফর্সা করতে খুব বেশি কার্যকরী। 
• ভিটামিন সি জাতীয় ফলঃ যেই সকল ফলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে সেইগুলো বেশি করে খেতে পারেন।
• ডিমের সাদা অংশঃ গর্ভাবস্থায় যদি কেউ বাচ্চা ফর্সা করতে চায় তাহলে দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার অর্থাৎ তিন মাসের সময় থেকে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
• কলাঃ অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কলাতে থাকায় নিয়মিত খেতে পারেন।
• কমলালেবুঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলালেবু গর্ভের বাচ্চার ত্বক ফর্সা করতে খুব ভালো কাজ করতে পারে।
• আলমন্ড বাদামঃ গর্ভের বাচ্চার বৃদ্ধি হতে আলমন্ড খুবই উপকারী। শুধু শারীরিক বৃদ্ধিই নয় এর পাশাপাশি ত্বককেও দারুনভাবে ফর্সা করতে থাকে।
• মৌরিঃ গর্ভাবস্থায় নিয়মিত মৌরি ভিজিয়ে পানি খেতে পারলে গর্ভের বাচ্চার ত্বকের রঙ খুব উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়।
• টমেটোঃ যেহেতু টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন থাকে তাই গর্ভাবস্থায় সূর্যের আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে যার ফলে গর্ভের বাচ্চার গায়ের রঙ সুন্দর হয়।
• পেয়ারাঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই থাকায় গর্ভবতী মায়ের জন্যে খুবই উপকারী। কারণ এটি গর্ভের বাচ্চার স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে এবং গায়ের রঙ ফর্সা করে।
• ঘিঃ গবেষণা থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায় যে, যখন গর্ভবতী মায়েরা ঘিয়ের পরিমাণ একটু বেশি খেয়ে থাকে, তখন তাদের বাচ্চার গায়ের রঙ খুবই উজ্জ্বল হয় সেই সাথে প্রসবের যন্ত্রনাও কমে আসে।

• গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় গোপন টিপস না জেনে খেলে সমস্যা হতে পারে। যখনই আপনি জাফরান খাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিবেন তখন এর পরিমাণ জানতে হবে।
• কারণ কতটুকু জাফরান খেলে আপনার গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকবে না সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা নিতে হবে।
• নিয়মিত প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ মিলিগ্রাম এর মত জাফরান খেতে পারেন।
• শুরুর দিকে জাফরান খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
• চিকিৎসকরা অনেক সময় প্রথম ত্রৈমাসিক সময়গুলোতে জাফরান খাওয়ার জন্যে নিষেধ করে থাকেন।
• গর্ভাবস্থায় শিশুর ত্বকে মেলালিনের পরিমাণ বাড়াতে এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

• প্রথমেই যদি বলতে হয় তাহলে আপনি পরিমিত পরিমাণে কলা খেতে পারেন।
• অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারে।
• মাঝে মাঝে পেয়ারা খেতে পারেন যা গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টিগুণের চাহিদা পূরণ করতে পারে।
• আপেল বা কমলা খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন যা গর্ভের বাচ্চার স্নায়ু এবং মাংসপেশিকে উন্নত করে।
• ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর কমলা গর্ভে থাকা ভ্রুণের মেরুদন্ড গঠন করে বাচ্চার ত্বক ফর্সা করতে সাহায্যে করে।
• গর্ভাবস্থায় যেন কোনভাবেই আপনার হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি না হয় তার দিকে খুব ভালোভাবেই লক্ষ্য রাখতে হবে।
• এর জন্যে আপনি প্রতিদিন অন্তত একটি করে আপেল খেতে পারেন যা আপনার শরীরে পর্যাপ্ত আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
• অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কিউই ফল অনেক সময় বাচ্চার গায়ের রঙ ফর্সা করতে খুবই সাহায্যে করে থাকে।
• এছাড়াও গর্ভের বাচ্চার হার্ট গঠনেও খুব ভালো সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

• উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অস্থায়ী সুফল গুণাবলির মধ্যে অন্যতম হলো বাচ্চার গায়ের রঙ ফর্সা করতে সাহায্য করে।
• খাদ্য তালিকায় ডিম, লাল মাংস, মাছ, পাঁচমিশালী ডাল, সিড জাতীয় খাবার রাখতে পারেন।
• সবুজ শাকসবজি, ব্লুবেরি, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড থাকায় বাচ্চার বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্যে করতে পারে।
• স্নেহ জাতীয় খাদ্যে যেহেতু আমন্ড অনেক বেশি পাওয়া যায়। যার ফলে মটরশুঁটি খেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এর কোন ঘাটতি হয় না। 
• খাবারগুলো নিয়মিত খেলে সন্তানকে যখন আপনি জন্ম দিতে যাবেন তখন খুব সহজেই প্রসব ব্যথাকে কমিয়ে দিতে পারে।
• শুধু তাই নয় গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও খুব ভালো সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
• রক্তশূন্যতাকে প্রতিরোধ করে ভিতর থেকে ভ্রুণের শারীরিক গঠন কাঠামো শক্তিশালী করে গড়ে তুলে।
• ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফ্রি রেডিকেল হওয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় গোপন টিপস উপরে উল্লেখিত সাত ধরনের খাবার নিয়মিত খেতে পারেন যা বাচ্চার ত্বক ফর্সা করতে সহায়ক।