ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি কতটুকু খাবেন

মেথি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা কিফাইবার সমৃদ্ধ ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি যতটুকু খাওয়ার ফলে উপকারে আসবে তা খেতেই পারেন। এই ভেষজ উপাদান মেথি এবং কালোজিরা খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করা সহ অন্যান্য উপকারও হয়।
মেথি-এবং-কালোজিরা-কিভাবে-শরীরের-রোগ-প্রতিরোধ-ক্ষমতা-বাড়ায়
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে মেথি এবং কালোজিরা প্রাচীনকাল থেকেই এক অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে। এই ভেষজ উপাদানগুলো নিয়মিত খেলে ম্যাজিকের মত কাজ করে।

পেইজ সূচিপত্র

ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি কি পরিমাণ খাবেন

ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি যেহেতু এক ধরনের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। তাই ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি কতটুকু খাবেন তা জানা প্রয়োজন। এটি পরিমাণ মতো খেতে হবে এবং এই ভেষজ উপাদান এর কোন ক্ষতি নেই। তারপরেও সকালের খাবার খাওয়ার পূর্বে আপনি কালোজিরা এবং মেথি দিয়ে ভেজানো এক গ্লাস পানি খেতে পারেন।
অথবা আপনি চাইলে খাবার খাওয়ার পূর্বে মেথি অল্প করে চিবিয়ে খেয়ে নিয়ে তারপর এর সাথে পানি খেয়ে ফেলতে পারেন। যদি তাও না পারেন তাহলে রাতে কিছু পরিমাণ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে খেয়ে ফেলবেন। যদি আপনার পেটে কৃমির বিস্তার অনেক বেশি থাকে।

তাহলে খুব সহজেই পানি খাওয়ার ফলে কৃমি মরে যাবে। এছাড়াও রক্তে যদি কোন ধরনের কোলেস্টেরল এবং চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে কালোজিরা এবং মেথির পানি সেটি খুব সহজেই দূর করে দেয়। এছাড়াও ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে কালোজিরা এবং মেথি খুব ভালো কাজ করে।

চায়ের সাথে ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি খেলে কি উপকার হয়

চায়ের সাথে ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি বেশ জমে উঠে। যখনই আপনি চা খাবেন তা খাওয়ার পূর্বে এর সাথে খুব ভালোভাবে কালোজিরা এবং মেথি দিয়ে রান্না করে নিতে পারেন। তাহলে সেই চায়ের তরল পানীয় আপনার শরীরে অনেক ধরনের উপকারে আসতে পারে। নিম্নরূপে চায়ের সাথে মেথি এবং কালোজিরার গুণাগুণ দেখুন।

  • রক্তে কোনভাবে গ্লুকোজ এর মাত্রা কমে যেয়ে থাকলে গ্লুকোজের মাত্রাকে ঠিক রাখতে কালোজিরা এবং মেথি খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
  • যদি কোনভাবে গলায় খুসখুস থাকে তাহলে খুব ভালোভাবে কালোজিরা এবং মেথি পানিতে ভিজিয়ে এর সাথে লেবুর রস খেতে পারেন।
  • চোখের নিচে কালো দাগ নেই এই রকম লোক খুব কমই পাওয়া যাবে।
  • অত্যাধিক পরিমাণে ডায়াবেটিস থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতেও কালোজিরা এবং মেথির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
  • প্রাকৃতিকভাবে এই ভেষজ উপাদানগুলো আপনার ওজন কমাতেও যথেষ্ট সাহায্যে করে থাকে।
  • এই ভেষজ চা খাওয়ার মাধ্যমে আপনার চুলের গোড়াও ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে উঠবে। সেই সাথে খুব সহজেই চুল পড়ার সমস্যাও থাকবে না।
  • নিয়মিত যখন আপনি চায়ের সাথে এইভাবে কালোজিরা এবং মেথি খেতে থাকবেন, তখন আরও অনেক ধরনের সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

শারীরিক ক্ষমতায় ভেষজ উপাদান মেথি এবং কালোজিরার উপকারিতা

শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে মেথি এবং কালোজিরা বিভিন্নভাবে সাহায্যে করে থাকে। আপনার যদি শারীরিক অক্ষমতা থাকে তাহলে বেশি করে মেথি এবং কালোজিরা খেতে পারেন। কারণ মেথি এবং কালোজিরা শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্যে করে থাকে।

কালোজিরা আপনার শরীরের শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না। আপনার শরীর থেকে যাবতীয় সকল ধরনের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্যে করে। এর মধ্যে অনেকের রয়েছে বাড়তি মেদ যা কমাতেও সাহায্যে করে। এটি শারীরিক ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়াতে পারে।
শারীরিক-ক্ষমতায়-ভেষজ-উপাদান-মেথি-এবং-কালোজিরার-উপকারিতা
যার ফলে আপনার শরীর থেকে ক্লান্তি খুব সহজেই দূরীভূত হয়ে যায় এবং আপনার শরীরের সকল ধরনের শারীরিক অক্ষমতা কাটিয়ে উঠতে পারেন। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায়।

কারণ আপনি যখন কালোজিরা এবং মেথি মিক্স করে নিয়ে খাবেন। তখন এর সাথে যদি খাঁটি মধু এবং হেলেঞ্চার রস মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলে খুব ভালো উপকার পাবেন যা শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ ভূমিকা রাখে।

রোজ খালি পেটে মেথি এবং কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

রোজ খালি পেটে কালোজিরা এবং মেথির গুণাবলী ম্যাজিকের মত আপনার শরীরের অতিরিক্ত বিষাক্ত পদার্থ দূরীকরণে সাহায্যে করে। রাতে খুব ভালো করে মেথি এবং কালোজিরা ভিজিয়ে রেখে এর পানি সকালে উঠে খেয়ে ফেললে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।  কালোজিরা এবং মেথি খালি পেটে খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিম্নরূপে বিস্তারিত দেখুন।

  • কালোজিরা এবং মেথি আপনার স্মরণ শক্তি খুব সহজেই বাড়াতে পারে।
  • কারন আপনার মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে নিয়মিত সেবা দিয়ে থাকে।
  • মেধা বিকাশের জন্যে কালোজিরা এবং মেথি আপনি অ্যান্টিবায়োটিক মনে করে খেতে পারেন।
  • শুধু তাই নয় কালোজিরা এবং মেথির সাথে পুদিনা পাতার রস মিক্স করে নিতে পারেন।
  • এই উপাদানগুলো ভিজিয়ে পানিতে খাওয়ার পাশাপাশি যদি আপনি মেথি এবং কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথাও অনেক কমে যাবে।
  • নিয়মিত মেথি এবং কালোজিরা খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেসার খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
  • শরীরে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যে করে।
  • রোজ খালি পেটে যখন আপনি এই ভেষজ উপাদানগুলো খেতেই থাকবেন।
  • তখন চর্মরোগ, বাতের ব্যথা, শ্বাসকষ্ট অথবা হাঁপানি, ডায়াবেটিস এবং হার্টের সমস্যা সহ আরও অনেক রোগের সমাধান দিতে পারে।

ওজন কমাতে কালোজিরার সাথে মেথি এবং মধু মিক্স কেন করবেন

ওজন কমানোর জন্যে কালোজিরা এবং মেথি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান। কারণ এটি যেহেতু আপনার হাতের নাগালে রয়েছে তাই ভেষজ উপাদানগুলো এর সাথে মধু এবং লেবুও মিক্স করে নিতে পারেন। যেহেতু কালোজিরা এবং মেথি আঁশযুক্ত। তাই এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর উপাদান।

যা খুব ভালোভাবেই আপনার শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্যে করতে পারে। অতিরিক্ত ওজন কমানোর এই বিশেষ উপাদানগুলো যখন নিয়মিত খেতে থাকবেন, তখন শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করবে যা আপনার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

মেথি এবং কালোজিরা কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

মেথি এবং কালোজিরাতে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক বেশি। কারণ কালোজিরাতে যেই পরিমাণে উপাদান রয়েছে তা জীবাণু ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা খুব তাড়াতাড়ি বাড়াতে পারে। কালোজিরায় যেই অ্যান্টি মাইক্রোরিয়াল বিদ্যমান তা শরীরে যেকোন ধরনের ফোড়া অথবা ঘা শুকিয়ে ফেলতে সাহায্যে করে।

ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি সংক্রামক যেকোন ধরনের ব্যাধিকে আটকাতে পারে। যদি আপনার পেটে কোন ধরনের গ্যাস হয় বা রোগ জীবাণু বংশবিস্তার করতে শুরু করে তাহলে কালোজিরা খুব সহজেই সেটিকে ধ্বংস করতে পারে এবং আপনার শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
চায়ের-সাথে-ভেষজ-উপাদান-কালোজিরা-এবং-মেথি-খেলে-কি-উপকার-হয়
শুধু তাই নয় আপনার চুল পড়া কমাতেও কালোজিরা এবং মেথি খুব ভালো কাজ করে। যদি দাঁতের ব্যথা হয় তাহলে কালোজিরা গরম পানিতে মিক্স করে সেই পানি দিয়ে যদি কুলি করেন, তাহলে ব্যথাও খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে। দাঁতের মাড়িতে থাকা সকল ধরনের জীবাণু খুব সহজেই মরে যেতে পারে। 

এছাড়াও আপনার যদি নিয়মিত গলায় খুসখুসে থাকে, জ্বর আসে তাহলেও ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি এটিকে কমিয়ে দিতে পারে। যেহেতু ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি কতটুকু খাবেন জানা প্রয়োজন। তাই আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কালোজিরা এবং মেথি নিয়মিত অল্প করে হলেও খেতে পারেন।

চুলে কেন মেথি এবং কালোজিরার তেল ব্যবহার করা হয়

মেথি এবং কালোজিরার তেলের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। শুধু বাজারের কেনা পণ্য দিয়েই চুলের যত্ন না নিয়ে ঘরোয়া ভেষজ উপাদান দিয়ে চুলের সেবা করতে পারেন।

চুলে নিয়মিত মেথি এবং কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। খুব তাড়াতাড়ি চুলের গোড়া অনেক বেশি মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে উঠে। মেথি এবং কালোজিরার তেলের সঠিক ব্যবহার কিভাবে করবেন তা নিম্নরূপে চলুন দেখি।

  • চুল ঝরে পড়া বন্ধ করতে মেথি এবং কালোজিরার তেল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
  • মেথি এবং কালোজিরার তেল ব্যবহার করার ফলে আপনার নতুন চুলও গজাতে পারে।
  • শুধু তাই নয় চুলের গোড়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে মেথি এবং কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • যখন চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন খেয়াল করলে দেখতে পাবেন চুল অনেকটা রুক্ষ লাগছে।
  • এই অবস্থায় আপনি খুব ভালোভাবে শ্যাম্পু করার পর চুলে কালোজিরা এবং মেথির তেল লাগিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন।
  • কালোজিরা এবং মেথির মিশ্রণ আপনার চুলের গোড়াকে এক্সট্রা কেয়ার দিতে পারে।
  • তবে আপনি ভেজা চুলে কখনোই গরম কালোজিরা এবং মেথির তেল ব্যবহার করবেন না।
  • খুব জোরে চুল আঁচড়াবেন না যার ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
  • তেল দিয়ে খুব ভালোভাবে চুলের গোড়া শক্ত করে বেঁধে রাখবেন না।
  • ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথির তেল রাতে ব্যবহার করে মজবুত চুল পেতে পারেন।
  • তবে দীর্ঘ সময় ধরে চুলে তেল দিয়ে রাখবেন না। এতে করে মাথায় ময়লা আটকে যেতে পারে।

কালোজিরা এবং মেথির চা খেলে কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে

কালোজিরা এবং মেথি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এই বিষয়টি কি কখনো জানতেন? বিভিন্ন রোগের মুক্তির জন্যে হয়তো কালোজিরা এবং মেথি আপনি খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ভেষজ প্রাকৃতিক উপাদান শুধু আপনার রোগ নিরাময়ই করে না। ত্বকের ভিতর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে থাকে।

যা আপনার কাছে এখন কল্পনাও মনে হতে পারে। কিন্তু এটি সত্যি যে কালোজিরা এবং মেথি যখন আপনি চায়ের সাথে রান্না করে খাবেন, তখন আপনার ত্বকের ভিতর থেকে উজ্জ্বল আভা বাহিরে ফুটিয়ে তুলবে।

প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এটি ত্বকের কালো দাগ দূর করে দিতে সাহায্যে করে। যদি কোন ধরনের ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটিও খুব সহজেই নিরাময় করে। খুব তাড়াতাড়ি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কালোজিরা এবং মেথির অবদান অনস্বীকার্য।

হালকা গরম পানিতে কালোজিরা এবং মেথি খাওয়ার উপকারিতা

গরম পানিতে কালোজিরা এবং মেথি খেলে আপনার অনেকটুকু উপকারে আসতে পারে। আঁশ জাতীয় উপাদান এই কালোজিরা এবং মেথিতে প্রচুর পরিমাণে নাইজেলন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে। হালকা গরম পানিতে যদি খেতে পারেন তাহলে যেই সকল উপকারগুলো পাবেন তার কিছু নমুনা চলুন দেখে আসি।

  • কালোজিরা এবং মেথি গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জরায়ুর সংকোচন এবং প্রসারণের যন্ত্রণা কমিয়ে দেয়।
  • মাথার খুশকি খুব সহজেই দূর করে চুলের রুক্ষতা ভাব দূর করে দেয়।
  • সেই সাথে ত্বকের মৃত কোষগুলোকে খুব সহজেই উঠিয়ে আনে।
  • আপনি চাইলে কালোজিরা এবং মেথির সাথে দই মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
  • হজম শক্তির দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কালোজিরা এবং মেথি খেতে পারেন।
  • এতে করে আপনার বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় কালোজিরা এবং মেথি আপনার পেটের প্রদাহ কমিয়ে দেয়।
  • মেথিতে যেই পরিমাণে সাইটো ইস্ট্রোজেন রয়েছে তা মহিলাদের হরমোন বৃদ্ধি করতে সাহায্যে করে।
  • কালোজিরা এবং মেথি মাঝে মাঝে চিবিয়ে খেতে পারলে শরীরের খুব ভালো উপকার পাবেন।

রান্নায় মেথি এবং কালোজিরা ব্যবহার করলে কি স্বাদ বাড়ে

রান্নায় কালোজিরা এবং মেথির ব্যবহার শুনলে আপনি হয়তো চমকে উঠতে পারেন। সেই প্রাচীনকাল থেকেই খাবারের স্বাদ ঠিক রাখতে কালোজিরা এবং মেথির ব্যবহারের প্রচলন চলে আসছে। এই কালোজিরা এবং মেথি ভিজিয়ে শুধু পানি খাওয়াই নয়। বরং রান্নায় ব্যবহার করার মাধ্যমেও স্বাদ অনেক গুনে বাড়িয়ে দিতে পারে।
অন্যান্য মসলার সুগন্ধের মত রান্নায় মেথি এবং কালোজিরাও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ভেষজ উপাদান রান্নায় পাঁচফোড়ন হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে থাকে। এমনকি ডাল রান্না করার সময় সেদ্ধ ডালের উপর ফোড়ন দিতে এই মসলা ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও আলুর দম এবং কুমড়ার বড়ি তৈরি করতেও ব্যবহার করে থাকে। মাছ রান্না করতে অনেকে সুগন্ধ পাওয়ার জন্যে কালো জিরা এবং মেথির ব্যবহার করে থাকে।

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, কালোজিরা এবং মেথি বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবেই নয় বরং রান্নায়ও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এই ভেষজ উপাদান কালোজিরা এবং মেথি কতটুকু খাবেন তা বুঝে নেওয়া আপনার জন্যে নিশ্চয়ই এখন সহজ হয়েছে। বিস্তারিত ভালো লাগলে আশেপাশের বন্ধুদের এই ভেষজ উপাদানগুলো সম্পর্কে জানাতে পারেন। আপনার মূল্যবান মতামত দিতে পোস্টের নিচে মন্তব্য করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url