ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা জানা না থাকলে শরীরকে সবসময় চাঙ্গা রাখতে পারবেন না। আপনার খাদ্যাভাসের জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা জানুন। ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা নিম্নরূপে তুলে ধরা হয়েছে।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার আপনার শরীরের জন্যে অনেক উপকারী হতে পারে। আপনার বয়স যতটুকু তার উপর নির্ভর করে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন। প্রয়োজনে খাবারের তালিকায় আপনি মাশরুম রাখতে পারেন যা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এমনকি হাড়ের স্বাভাবিক গঠন মজবুত করতে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খুব ভালো কাজ করে।
পেইজ সূচিপত্র
- ভূমিকা
- ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে কি কি সমস্যা হয়
- ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার কোনগুলো
- খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কেন রাখবেন
- ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরে কোন রোগ হয়
- ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে কি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হয়
- ভিটামিন ডি খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন
- ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে কি চুল পড়ে যায়
- শরীরের ওজন বাড়াতে কি ভিটামিন ডি খাবেন
- শেষকথা
ভূমিকা
পর্যাপ্ত খাবার খেয়ে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে হয়। তা না হলে ভিটামিনের ঘাটতিতে দেখা দিতে পারে শরীরে নানা ধরনের রোগব্যাধি। যদি দীর্ঘদিন একটানা আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয়ে যায়, তাহলে বড় ধরনের কোন সমস্যা হতে পারে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন, যা আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গাজরে কি পরিমাণ ভিটামিন থাকতে পারে
কারণ শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি খুব বেশি হয়ে যায়, তাহলে হাড় বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। শিশুকাল থেকেই ভিটামিন ডি এর যেন কোন ধরনের অভাব না হয় তার জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এমনকি ভিটামিন ডি এর চাহিদা কমলার জুসও পূরণ করতে পারে।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে কি কি সমস্যা হয়
যেহেতু ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর রয়েছে বিশেষ গুণাবলী। তাই আপনার শরীরের ভেতরকার রোগের বিরুদ্ধে খুব সহজেই লড়াই করতে পারে। তবে যেই ধরনের সমস্যাগুলো ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণে হতে পারে তার কিছু নমুনা চলুন দেখি।
- ভিটামিন ডি এর অভাব চুলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- এতে করে আপনার চুল অনেক বেশি পরিমাণে পড়ে যেতে পারে।
- চুলের সমস্যার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও ঘটে ভীষণ অবনতি।
- সেই সাথে তৈরি হয় আপনার মধ্যে বিষন্নতা যা আপনাকে প্রতিনিয়ত ভুগিয়ে থাকে।
- আপনার মধ্যে খুব ক্লান্তি ভাব সৃষ্টি হতে পারে, যা মূলত ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে হতে পারে।
- পাশাপাশি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা না জানলে আপনার মেজাজও খুব উত্তেজিত থাকতে পারে।
- ত্বকে উঠতে পারে ফুসকুড়ি থেকে শুরু করে ব্রণের নানা ধরনের সমস্যা।
- খুব সহজে আপনার চেহারায় বয়সের বার্ধক্য বাড়তে থাকে।
- যখনই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়তে থাকে তখনই ভেতর থেকে হাড় ক্ষয় হতে থাকে।
- আপনি হয়তো বুঝতেই পারবেন না আপনার অজান্তেই ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে ওজন কমে যাচ্ছে।
- হঠাৎ করেই আপনার মাংসপেশিতে ব্যথা করতে পারে।
- শরীরে যদি হঠাৎ করে কেটে যায় তাহলে ভিটামিন ডি এর অভাবে সেই ক্ষত শুকাতেও খুবই সময় লাগতে পারে।
- ভিটামিন ডি এর অভাবে বাচ্চাদের রিকেটস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার কোনগুলো
যদি আপনি একটু কষ্ট করে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন। ভিটামিন ডি এর অভাব আপনি দুগ্ধজাত খাবারগুলো খেয়ে পূরণ করতে পারেন।
এর পাশাপাশি ডিম, সামুদ্রিক বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমন রূপচাঁদা, টোনা ফিস, কড ফিশ, স্যালমান মাছ, চিংড়ি এবং আরো অন্যান্য ভিটামিন ডি যুক্ত মাছগুলো খেতে পারেন। মাঝে মাঝে শস্য দানা জাতীয় খাবারগুলো খেতে পারেন। যেখানে ভিটামিন ডি বিদ্যমান যার মধ্যে রয়েছে আটা, ডাল, ভাত ইত্যাদি।
পনির ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটিও খেতে পারেন। শাকের মধ্যে পালংশাক বেশি করে খেতে পারেন। এতে খুব বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়াও দুগ্ধজাত এর তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন ছানা, দই, চিজ খেতে পারেন।
খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কেন রাখবেন
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারগুলো আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখার পিছনে রয়েছে অনেক ধরনের অজানা কারণ। তবে এই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কেন আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত খাবেন, তার সম্পর্কে চলুন সঠিক তথ্যগুলো জেনে আসি।
- খাদ্য তালিকায় রাখার পেছনে প্রথম কারণ হলো এটি আপনার চুল পড়ার সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
- আপনার শরীরে সকল ধরনের ক্লান্তি খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে।
- হতে পারে আপনার হয়তো হঠাৎ করেই ওজন কমে যাচ্ছে সেটিকেও ঠিক রাখতে পারে।
- মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে দিতে পারে অনেক বেশি প্রশান্তি।
- নিয়মিত ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেয়ে নিজের ক্লান্তিকে দূর করতে পারেন।
- যদি পেশিতে অত্যাধিক পরিমাণে দুর্বলতা কাজ করে তাহলে সেটিও দূর করতে পারেন।
- আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে প্রফুল্ল করে তোলে এবং মেজাজ ঠিক রাখে।
- যদি নিয়মিত ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে পারেন, তাহলে এইগুলো ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরে কোন রোগ হয়
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার না খাওয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা যাদের হয় সেটি হচ্ছে বাচ্চাদের। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেটস নামক একটি রোগ হয় যা খুবই গুরুতর। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে আপনার মেরুদন্ডেও দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা করছে এবং হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়াই দাঁত ব্যথা করে পড়ে যাচ্ছে।
শরীরের সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন জায়গার জয়েন্টে ব্যথা। বিশেষ করে যারা একটু বয়স্ক লোক তাদের ক্ষেত্রে বাতের ব্যথার সমস্যা হতে দেখা যায়। অনেক সময় বড়দের সমস্যা বলতে অস্টিওমিলেশিয়া নামে এক ধরনের রোগ হয় যা ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে দেখা দিতে পারে। পায়ের হাড় অনেক সময় বেঁকে যেতে পারে।
এমনকি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই কমে যেতে পারে যে, আপনি সব ধরনের শক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলবেন। বেশিরভাগ বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের হাড় নরম হয়ে যায়। যার ফলে ধীরে ধীরে আলজেইমার নামে এক ধরনের রোগ হয়ে যায়। শুধু তাই নয় ভিটামিন ডি এর অভাবে ফলে অ্যাজমাও দেখা দিতে পারে।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে কি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হয়
ভিটামিন ডি এর চাহিদা ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার অনেক বেশি পরিমাণেই পূরণ করতে পারে। যা আপনার কল্পনারও বাহিরে থাকতে পারে। আপনি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা জানার পর যদি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারগুলো নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি এর জন্যে আপনার কোন চিন্তাই করতে হবে না।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার অর্থাৎ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার অনেক বেশি পরিমাণে খেতে হবে। কিন্তু এই খাবারগুলো খেলে যে আপনার ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হয় চলুন সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য দেখি।
- ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের মধ্যে ডিম, দুধ আপনি নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
- আপনি যখন ক্যালসিয়াম যুক্ত সকল খাবার খেতে পারবেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে থাকবে।
- মাঝে মাঝে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন এবং সেইগুলো ভিটামিন ডি পুষ্টিগুণ উপাদানে যথেষ্ট ভরপুর।
- বিভিন্ন সুপার শপে ভিনদেশী কিছু সবজি পাওয়া যেতে পারে। যেখানে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
- অর্থাৎ ক্যালসিয়াম যুক্ত যেই সকল খাবার তা খুব সহজেই আপনার ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
- বীজ জাতীয় যেই সকল খাবার রয়েছে সেইগুলো নিয়মিত খেতে পারেন।
- ভিটামিন ডি জাতীয় খাবারের মধ্যে ক্যালসিয়ামের ক্ষয় কমাতে হলে সূর্যের আলোতে বসে থাকতে পারেন।
- কারণ শীতের সময় বিশেষ করে সূর্যের আলো একটু অল্প থাকায় সেখান থেকে সরাসরি ভিটামিন ডি পেতে পারেন।
- তবে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ভিটামিন ডি এর চাহিদা খুব সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
ভিটামিন ডি খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার আপনার শরীরে কতটা উপকারে আসতে পারে তা বলে শেষ হবে না। কারণ এটি সব সময় আপনার শরীরের ভালো করবে। আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল তৈরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেটিকে খুব সহজেই দূরীভূত করতে পারে ভিটামিন ডি।
শুধু তাই নয় যখনই সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আপনার শরীরের ভিতর প্রবেশ করে, তখন কোলেস্টেরল খুব সহজেই দূর হয়ে শক্তি অর্জিত হয়। যদি আপনি সূর্য রশ্মি থেকে ভিটামিন ডি পেতে চান, তাহলে উপযুক্ত সময় এর জন্যে আপনাকে দিনের কিছু সময় বেছে নিতে হবে।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তার মধ্যে এটি একটি। তবে এর জন্যে আপনাকে এক ঘন্টা এর মত সেই সূর্য রশ্মিতে বসে ভিটামিন ডি নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ যখন আপনি ভিটামিন ডি নেয়ার জন্যে দুপুরের সময়কে বেছে নিবেন, তখন এর প্রভাবে ক্যান্সারের মতো সমস্যাও খুব সহজেই দূরীভূত হতে পারে।
তবে কড়া রোদে কখনোই দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না। সূর্য রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যে আপনি সেই সময় টুপি অথবা সানগ্লাস অথবা ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে নিয়মিত দুই থেকে তিন দিন ভিটামিন ডি সূর্য রশ্মি থেকে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে কি চুল পড়ে যায়
যদি আপনার ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি চুল হারিয়ে ফেলতে পারেন। কারণ আপনার চুলের গোড়ায় যে ত্বক রয়েছে সেখানে এক ধরনের ক্যারোটিন নামক কোষ রয়েছে। যদি সেই কোষে পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন না পৌঁছায় তাহলে সেটির অভাব হতে থাকে।
যার ফলে দেখা যায় চুলের বিভিন্ন সমস্যা। এর মধ্যে থাকা যেই ফলিকলগুলো রয়েছে সেইগুলো খুব সহজেই নতুন করে চুল গজাতে পারে না। ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ফলে চুল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়গুলো কেন হয় চলুন সেই বিষয়ে একটু দেখি।
- চুলের ত্বকে রয়েছে এক ধরনের ক্যারোটিন যদি সেটি পুষ্টি না পায় তাহলে হয় বিভিন্ন সমস্যা।
- এই ক্যারোটিনে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন যদি না পায় তাহলে চুল খুব সহজে উঠতে চায় না।
- চুলে থাকা টিস্যুগুলো খুব সহজেই ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে।
- তাই চুলের ফলিকলে থাকা ক্যারোটিনকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- ত্বকে থাকা যেই ধরনের মৃত কোষ রয়েছে সেটিকে খুব সহজেই অপসারণ করতে হবে।
- ভিটামিন ডি এর অভাব হলে চুল যে পড়ে যায় তার কারণটি নিশ্চয়ই খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
- খুব বেশি চুল যদি পড়তে থাকে অর্থাৎ পাতলা হয়ে যায় তাহলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করতে পারেন।
- চুল পড়া সমস্যা কমবেশি সবারই থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়লে একটু সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করুন।
শরীরের ওজন বাড়াতে কি ভিটামিন ডি খাবেন
শরীরের ওজন খুব বেশি বাড়ানোর জন্যে আপনি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে পারেন। যদি আপনি আপনার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই রাখতে চান, তাহলে সকালে ডিম, দুধ, খেজুর এবং কলা জাতীয় খাবারগুলো খুব বেশি পরিমাণে খেতে পারেন। দুপুরের খাবার হিসেবে খেতে পারেন ভাত, ডাল, শাকসবজি, মুরগি এবং লাল মাংস।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় নবজাতককে ফর্সা করতে যেই খাবার
যার ফলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি যুক্ত প্রোটিন খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে। খাবার খাওয়ার পরে শেষের দিকে আপনি চাইলে টক দই খেতে পারেন। যদি বাড়িতে বানিয়ে খেতে পারেন তাহলে খুবই ভালো। রাতের খাবার হিসেবে আপনি ওজন বাড়াতে হলে বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন। যেখানে আপনি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।
এর মধ্যে রয়েছে কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, চিনা বাদাম, কাঠবাদাম থেকে শুরু করে আরও অনেক ধরনের খাবার। তাই ওজন বাড়ানোর জন্যে মাঝে মাঝে কিসমিস খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের বীজ খেতে পারেন যার মধ্যে রয়েছে তিলের বীজ, মিষ্টি কুমড়ার বীজ এবং তিসির বীজ ইত্যাদি যা খুব সহজেই আপনার ওজন বাড়াবে।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল এই কথাটি তো আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন। তাই আপনার নিজের শরীরের সুস্থতার কথা আপনাকেই ভাবতে হবে। এই দিক থেকে বিবেচনা করে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়, তার বিস্তারিত নিশ্চয়ই অনুচ্ছেদ থেকে জানতে পেরেছেন।
বিস্তারিত ভালো লেগে থাকলে আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার রাখতে পারেন। আশেপাশের বন্ধুদের শেয়ার করে সবাইকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন। বিস্তারিত আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url