নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায়

গর্ভাবস্থায় কোন ফল বেশি করে খাবেনহয়তো আপনি নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায় তা জানেন না। নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায় তার একটি হলো শরীরে অনেক বেশি প্রোজেস্টেরন এর প্রয়োজন হয়।
মায়েদের টক খেলে কি শরীর ও মনের পরিবর্তন হয়
গর্ভাবস্থায় নতুন মায়েদের যা খেতে ইচ্ছে করে
এই সময়ে একজন গর্ভবতী মায়ের বমি বমি ভাব সৃষ্টি হয় বলে টক জাতীয় খাবার খেতে চায়। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে করে রক্তে পানির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

পেইজ সূচিপত্র

গর্ভাবস্থায় নতুন মায়েরা কেন টক খায়

যখন একজন মা প্রথমে গর্ভবতী হয় তখন টক খেতে ইচ্ছে করতে পারে। কিন্তু নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায়? এই অবস্থায় মায়েদের প্রথম তিন মাস এর সময় বমি বমি ভাব হতে পারে। কারণ এই অবস্থায় তাদের শরীর থেকে অনেক বেশি পরিমাণে সোডিয়াম বের হয়ে যায় যার ফলে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা।


এই সোডিয়ামের ঘাটতির ফলে বারবার গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার বা লবণাক্ত খাবারের প্রতি অনেক বেশি আসক্ত হয়ে যায়। এমনকি মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো খাওয়ার জন্যে অনেক বেশি লোভাতুর হয়ে পড়তে পারে। এর পাশাপাশি টক দই খাওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।

এই সময়ে গর্ভবতী নারীরা অনেক বেশি পরিমাণে যদি কোন খাবারের প্রতি ঝুঁকে পড়ে বারবার সেই খাবারগুলোই খেতে চান। যেহেতু এই সময়ে গর্ভবতী মায়েদের একটু মুড সুইং হতে পারে। তাই আচার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

গর্ভবতী মায়েদের তেঁতুল খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় মায়েরা অনেক সময় তেঁতুলের গুনাগুন সম্পর্কে না জেনেই খাওয়া শুরু করে দেয়। কিন্তু নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায় তা কতটুকু জানেন। এই অবস্থায় তেঁতুল কতটা তার শরীরের জন্যে উপকার হচ্ছে সেই বিষয়ে কোন খেয়াল থাকে না।

কিন্তু তেঁতুল বেশি পরিমাণে খেলে সমস্যা হতে পারে। যদি পরিমিত পরিমাণে খায় তাহলে শরীরের জন্যে অনেক ভালো হতে পারে। তবে এর বিস্তারিত সম্পর্কে নিমরূপে দেখুন।

  • অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, সি, এক্সট্রা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান তেঁতুলে রয়েছে।
  • যা গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের পায়ের গোড়ালি এবং শরীরের ফোলাভাব কমাতে খুবই সাহায্যে করে থাকে।
  • যদি পেশিতে কোন ধরনের ব্যথা সৃষ্টি হয় তাহলে গর্ভাবস্থায় খুব সহজেই এটি কমিয়ে দিতে পারে।
  • এটি সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
  • তাই আপনার রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • তবে মিষ্টি তেঁতুল খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে খুবই সাহায্যে করতে পারে।
  • শুধু তাই নয় গর্ভাবস্থায় আপনার হজম প্রক্রিয়ায় খুব সহায়তা করে থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মা তেঁতুলে হালকা লবণ মিশিয়ে খেতে খুব ভালো অনুভব করতে পারে।
  • অতিরিক্ত খেলে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকির কারণও হতে পারে। তাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে অল্প করে খাবেন।

নতুন মায়েদের টক খাওয়ার পিছনে কি কারণ বিদ্যমান

নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক খাওয়ার প্রতি খুব বেশি আগ্রহ বোধ করে থাকে। কারণ এই সময় তাদের অনেক বেশি পরিমাণে বমি বমি ভাব দেখা দেয়। এছাড়াও অনেকে শিশুর পুষ্টির কথা চিন্তা করে ভিটামিন সি জাতীয় টক খাবারগুলো খেয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় যদি আপনি টক খাবার খেতে পারেন।

তাহলে এটি আপনার শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। সেই সাথে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও খুব সহজেই বাড়িয়ে দেয়। কারণ এই অবস্থায় আপনার ভ্রুণের যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন হয়, যা ভিটামিন সি তে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায়
শরীরে শর্করার ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারে তাই টক পরিমিত পরিমাণে খাবেন
বৈজ্ঞানিক ধারণা অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় মায়েরা অনেক বেশি পরিমাণে সোডিয়াম নির্গত হওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। যেহেতু এই সময় অম্লের চাহিদা অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। তাই এই ঘাটতি পূরণ করতে হলে টক জাতীয় খাবার খেতেই হবে।

এই অবস্থায় শুধু যে টক খেতে ইচ্ছা করে তা নয় মিষ্টি জাতীয় খাবারও খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু টক জাতীয় খাবারের সাথে মিষ্টি জাতীয় খাবার দুটো একসাথে মিক্স করে খেলে অন্যরকম এক স্বাদ পাওয়া যেতে পারে। যা গর্ভবতী মা এবং ভ্রুণের জন্যে খুবই উপকারী হবে।

গর্ভাবস্থায় কি জলপাই খাওয়া যায়

গর্ভাবস্থায় জলপাই হতে পারে আপনার খুব কাছের একটি সুস্বাদু ফল। সুস্বাদু এই ফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হতে পারে। জলপাই খাওয়ার ফলে একটি ভ্রুণের পর্যাপ্ত চাহিদা পূরণ হয়।

এমনকি ভ্রুণের স্নায়ুতন্ত্র এর বিকাশ ক্ষমতাও অনেক বেশি পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। তবে নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায় তা জেনে গর্ভাবস্থায় আপনি যেভাবে জলপাই খেলে অনেক বেশি পরিমাণে উপকৃত হতে পারেন সেই সম্পর্কে চলুন দেখি।

  • যেহেতু জলপাইয়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
  • তাই আপনার শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা খুব সহজেই পূরণ করে।
  • এটি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল খুব সহজেই দূরীভূত করে দিতে পারে।
  • কারণ গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হওয়ার খুবই সম্ভাবনা থাকে।
  • এই অবস্থায় জলপাই গর্ভবতী মায়ের ইমিউনিটি শক্তি অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • গর্ভবতী মায়ের এই সময়ে হজমে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে যা জলপাই খুব সহজেই দূর করে।
  • আপনার যদি রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে সেটিও খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জলপাই প্রয়োজনীয় সকল চাহিদা পূরণে সহায়ক।
  • তাই গর্ভাবস্থায় একজন হবু মা পরিমিত পরিমাণে জলপাই খেতে পারেন।

হবু মায়েদের টক খেলে কি শরীর ও মনের পরিবর্তন হয়

একজন নতুন গর্ভধারী মায়ের জন্যে গর্ভাবস্থার সময়টা খুবই কঠিন হয়ে যায়। কারণ এই সময়ে সেই মায়ের জীবনযাপনে পরিবর্তন হয় বিশাল। হঠাৎ করেই শরীর ও মনের পরিবর্তন শুরু হয়ে যায়। কখনো হয়তো যা খেতে ইচ্ছে করছে দুদিন পরেই আবার সেটি বদলে যাচ্ছে। তাই মানসিক ভারসাম্য অন্যান্য সময়ের থেকে গর্ভাবস্থায় একটু বেশি পরিমাণে চড়া থাকে।

কারণ এই সময়ে সন্তান একটু একটু করে পেটের ভেতর বড় হতে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে সন্তানের বেড়ে উঠা অনুভব করতে থাকে একজন নতুন মা। গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার এর পাশাপাশি মাঝে মাঝে হবু মায়ের প্রচুর পরিমাণে আইসক্রিম, দই বা ফল খেতে ইচ্ছে করতে পারে।


এমনকি মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতিও আগ্রহ কমে না। কারণ দুধ, মাঠা এবং চকলেট খেতেও অনেক বেশি আগ্রহ হতে পারে। আপনি গর্ভকালীন সময়ে যা খাবেন আপনার শিশু সেখান থেকেই গর্ভাবস্থায় তা পেতে থাকে। কারণ অ্যামনিওটিক নামে এক ধরনের ফ্লুইড নির্গত হয় যার মাধ্যমে অনাগত শিশু সেই খাবারের স্বাদ নিতে পারে।

একজন হবু মায়ের এই সময়ে শরীরের উপর নানা ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। কারণ এই সময়ে মায়েদের প্রচুর পরিমাণে খিদে পায়। কারণ শিশুর হাড় গঠনে মায়ের শরীর থেকে পুষ্টি নিয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে অনাগত শিশু থাকা অবস্থায় খাবারের স্বাদ বুঝতে শুরু করে দেয়।

এর ফলে অনাগত শিশুর মধ্যে এক ধরনের টেস্ট বাড তৈরি হয়। এই সময় হবু মায়ের জন্যে সব সময় পুষ্টিকর এবং শক্তিশালী খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই সময়ে ঝাল খাবার খেতে ইচ্ছে হলেও কিছুটা কমিয়ে খাওয়া উচিত। কারণ ঝাল খাবার খাওয়ার ফলে ঘাম হতে পারে।

নতুন মায়েদের গর্ভাবস্থায় চালতা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় একজন নতুন মা চালতা খাওয়াকে বেছে নিতে পারেন। কারণ চালতা তেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। যা আপনার শরীরের চাহিদাকে অনেক বেশি ভালোভাবে পূরণ করতে পারে। যেহেতু আপনার এই সময়ে টক জাতীয় খাবার খেতে খুবই ইচ্ছে করতে পারে।

তাই চালতা এমন একটি ফল যা আপনার টক জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ করতে পারে। তবে এই সময় মায়েদের জন্যে চালতা কতটুকু খেলে ভালো হবে সেই সম্পর্কে চলুন একটু ধারণা নিই।

  • চালতার গুনাগুন সম্পর্কে কমবেশি আপনি জানতেই পারেন।
  • কারণ চালতা শহর অথবা গ্রামাঞ্চল সব জায়গায় কমবেশি পাওয়া যায়।
  • এটি খাওয়ার ফলে একজন গর্ভবতী মায়ের বমি বমি ভাব খুব সহজেই দূর হতে পারে।
  • এই সময়ে একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের রুচি নাই থাকতে পারে।
  • কিন্তু যখনই অল্প করে চালতার আচার খেয়ে নিবে তখন ধীরে ধীরে তার রুচির চাহিদা বাড়বে।
  • খাবার খেতে ইচ্ছে করবে সেই সাথে পুষ্টিগুণ উপাদানগুলোও পূরণ হবে।
  • চালতা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়ামের ঘাটতি খুব সহজেই পূরণ হতে পারে।
  • চালতা খাওয়ার ফলে ভ্রুণের মানসিক বিকাশ অনেক বেশি পরিমাণে উন্নত হবে।
  • সেই সাথে অনাগত শিশুর প্রতিটি অঙ্গপ্রতঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে পারবে।
  • গর্ভকালীন সময়ে একজন নতুন মা চালতা খেলে চোখের সমস্যা দূরীভূত হতে পারে।
  • শুধু তাই নয় অনাগত বাচ্চার ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হয়ে চোখের নানা সমস্যাকে বাধা প্রদান করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় নতুন মায়েদের কি খেতে ইচ্ছে করে

একজন নতুন মা হিসেবে গর্ভাবস্থায় অনেক কিছুই খেতে ইচ্ছে করতে পারে। কারণ এই সময়ে খাবারের কোন ঠিক থাকে না যেকোন সময় যেকোন কিছু খাওয়ার ইচ্ছা মনে জাগতে পারে। অনাগত বাচ্চা সবসময় মায়ের পেটে থেকে জানান দিতে থাকে। কারণ ভ্রুণের এই সময়ে প্রয়োজন হয় যথেষ্ট পুষ্টির।

বাচ্চার শরীর গঠনেও অনেক বেশি পরিমাণে ভূমিকা রাখে খাবার। তবে নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায়? মায়েরা প্রথম অবস্থায় বমি বমি ভাব হলে টক জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে যা তাদের খুবই প্রশান্তি দিয়ে থাকে। বিশেষ কোনো খাবারের প্রতি যদি হঠাৎ করে তীব্র আকাঙ্ক্ষা দেখা দেয়, তাহলে গর্ভবতী মাকে সেই খাবার খেতে দেওয়া উচিত। 

যেহেতু এই সময়ে একজন মায়ের জন্যে খুবই গুরুতর একটি সময়। তাই গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্যে দরকার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। এই সময়ে অত্যাধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি একজন গর্ভকালীন মায়ের জন্যে পাঁচশো মিলিগ্রাম এর মত খাবার রাখতে হবে।

নতুন মায়েদের টক খাওয়া কি এড়িয়ে যাওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় একজন নতুন মায়ের জন্যে টক জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই আরামদায়ক মনে হতে পারে। কারণ যেহেতু প্রথম দিকে অনেক বেশি বমি বমি ভাব হয়। তাই টক জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে একটু ভালো লাগতে পারে। তাই এই সময়ে টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া একদমই উচিত নয়।

শরীরে গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার দরকার হয় ভিটামিন সি এর ঘাটতি সহ অনেক ধরনের পুষ্টির প্রয়োজনে। কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। কিন্তু মায়েরা যদি এই সময়ে টক জাতীয় খাবার একটু বেশি করে খেয়ে ফেলেন।

তাহলেই ঘটতে পারে অনেক ধরনের বিপত্তি। তবে এই সময় আপনি টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাবেন কিনা এই বিষয়ে বিস্তারিত নিম্নরূপে চলুন দেখি।

  • অতিরিক্ত টক জাতীয় খাবার খেলে আপনার শরীরে এটি ব্লাড কেনার হিসেবে কাজ করতে পারে।
  • যার প্রভাবে ঠিকমতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি অনাগত শিশুর কাছে নাও পৌঁছাতে পারে।
  • কারণ এই সময়ে ভ্রুণের অনিয়মিত রক্ত প্রবাহ তখন দেখা দেয়।
  • শরীরের উচ্চ রক্তচাপ অতিরিক্ত টক জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে হতে পারে।
  • আপনার শরীরে শর্করার ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারে তাই টক পরিমিত পরিমাণে খাবেন।
  • গর্ভপাত যেন না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে টক জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন।

গর্ভবতী মায়ের টক খাওয়া কতটা নিরাপদ

শুধু ঠান্ডা এবং ঝাল জাতীয় খাবারই নয়। গর্ভবতী মায়েরা এই সময়ে টক জাতীয় খাবার পরিমাণের থেকেও একটু বেশি খেয়ে থাকে। কারণ তাদের খাদ্য তালিকায় টক জাতীয় খাবার না থাকলেই নয়। তারা এই সময় টক জাতীয় খাবারের স্বাদ নিতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে।

কিন্তু এর জন্যে অনেকে আবার আচার অনেক বেশি করে খেয়ে থাকে। মিষ্টি জাতীয় খাবারও অনেক বেশি পরিমাণে খায়। কিন্তু নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায়? টক জাতীয় খাবার গর্ভবতী মায়েদের জন্যে কতটা নিরাপদযোগ্য হতে পারে।

যদি আপনার টক জাতীয় খাবারের প্রতি অনেক বেশি পরিমাণে আসক্তি থাকে। তাহলে এটি খুবই সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ টক জাতীয় খাবার আপনার শরীরে অম্ল অনেক বেশি পরিমাণে বাড়িয়ে দিতে পারে, যা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
নতুন মায়েদের টক খাওয়া কি এড়িয়ে যাওয়া উচিত
টক জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন
পরিমিত পরিমাণে বুঝে টক জাতীয় খাবার খাবেন। এই সময় যেহেতু বিভিন্ন টাইপের খাবারই খেতে ইচ্ছে করে। তার মধ্যে চকলেট অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন। কারণ চকলেটে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং শর্করা রয়েছে যা শিশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক হয়।

বিশেষ করে চিকিৎসকরা অনেক বেশি পরিমাণে এই সময় চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার কারণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

খুব বেশি পরিমাণে লাল মাংস না খাওয়াই ভালো। এতে করে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা কম হতে পারে। এই সময়ে টক জাতীয় খাবার আপনার জন্যে কতটা নিরাপদ হতে পারে তা বিবেচনা করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি গর্ভপাত হয়

মায়েদের তেঁতুল খেলে গর্ভাবস্থায় অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না। কারণ আপনার হরমোনাল পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। সেই সাথে খাওয়া দাওয়াতেও আসে বিশেষ পরিবর্তন। তাই এই পরিবর্তন থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই।

তাই নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায় তা বুঝে এই সময়ে আপনাকে খাবার খেতে হবে, অত্যন্ত সতর্ক হয়ে যা গর্ভপাত থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে।

কারণ কি খেলে একজন মায়ের গর্ভপাত হতে পারে তা কিন্তু আপনার জানা নাও থাকতে পারে। তেঁতুল খাওয়ার ফলে গর্ভপাত এর আশঙ্কা রয়েছে কিনা এই বিষয়ে চলুন বিস্তারিত নিম্নরূপে দেখি।

  • গর্ভবতী মায়ের এই সময়ে অনেক বেশি পরিমাণে টক জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করতে পারে, তাই খুব সাবধানে পরিমিত খেতে হবে।
  • কারণ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
  • ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এই টক জাতীয় ফল তেঁতুল আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • শুধু তাই নয় গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরে যেন অতিরিক্ত মেদ জমে না যায় সেটিও অনেক ভালোভাবে কাজ করে।
  • তেঁতুলের রসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে পারে।
  • কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। শিশুর অকাল জন্মের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে।
  • তাই নয় গর্ভাবস্থায় আপনার যখন বমি বমি ভাব হয় তখন সেটিও খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। 
  • তেঁতুল যখন আপনি লবণ দিয়ে মিক্স করে চুষে খাবেন তখন এই অবস্থায় অনেক ভালো অনুভব করতে পারেন।
  • মস্তিষ্ক বিকাশের জন্যে তেঁতুল অনেক বেশি পরিমাণে উপকারী।
  • কিন্তু যেহেতু তেঁতুলে অনেক বেশি পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে।
  • তাই যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়েও দিতে পারে।
  • এমন কি অতিরিক্ত তেঁতুল খেয়ে ফেলার কারণে আপনার শরীরে শর্করা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে।
  • যদি অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় আপনার ফ্লুরোসিস হয়ে যায় তাহলে এটি সরাসরি ভ্রুণের ক্ষতিও করতে পারে।
  • তাই খুব চিন্তা ভাবনা করে পরিমিত তেঁতুল খাবেন যা আপনার জন্য নিরাপদ হবে।

শেষের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, গর্ভাবস্থায় আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, এই সময়ে অনেক কিছুই খেতে ইচ্ছে করতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে টক জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খাবেন। নতুন মায়েরা গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার কেন খেতে চায় এর নিশ্চয়ই সঠিক উত্তরটি পেয়েছেন।

তবে গর্ভাবস্থায় আপনি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে টক জাতীয় খাবারের স্বাদ নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী নিতে পারেন। গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার খাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে আপনার কাছে ভালো লাগলে আশেপাশের বন্ধুদের শেয়ার করতে পারেন। এই বিষয়ে যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url