গর্ভাবস্থায় কিভাবে বুঝবেন ছেলে নবজাতক পেটের কোন দিকে থাকে
গর্ভাবস্থায় কিভাবে বুঝবেন ছেলে নবজাতক পেটের কোন দিকে থাকে? তাহলে এর সঠিক ধারণা না পেলে গর্ভাবস্থায় কিভাবে বুঝবেন ছেলে নবজাতক পেটের কোন দিকে থাকে। তাই আপনি গর্ভাবস্থায় কিভাবে বুঝবেন ছেলে নবজাতক পেটের কোন দিকে থাকে এই বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে আজকের এই অনুচ্ছেদ।
বাচ্চা গর্ভধারণের পূর্বে আপনার শরীর যেই অবস্থায় ছিল। হয়তো গর্ভাবস্থায় সেই রকম নাও হতে পারে কিছুটা পরিবর্তন আসবেই। অনেকটা সময় আপনার নিজের কাছে অসুস্থও মনে হবে। তাই এই সময়ে একজন গর্ভবতী নারীর জন্যে পরিবারের সকলেই দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন। কারণ যখনই ছেলে বাচ্চা পেটে আসে তখনই দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
পেইজ সূচিপত্র
- ভূমিকা
- কিভাবে খুব সহজে ছেলে শিশু গর্ভে আসে
- ছেলে সন্তান কত মাসে হয়
- গর্ভাবস্থায় কোন লক্ষণে বুঝবেন সন্তান ছেলে না মেয়ে
- ছেলে নবজাতক গর্ভাবস্থায় পেটের কোন পাশে থাকে
- গর্ভাবস্থায় নাভি দেখে ছেলে সন্তান বুঝার উপায়
- গর্ভকালীন সময়ে সন্তান ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
- গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে কোন ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া কি বুঝা যায়
- গর্ভে থাকা ছেলে শিশুর হৃদস্পন্দন কিভাবে শুনবেন
- শেষকথা
ভূমিকা
গর্ভাবস্থায় আপনার পেটে যদি সন্তান আসে তাহলে সেটি ছেলে না মেয়ে সেটিও কিন্তু বোঝার যেকোন উপায় রয়েছে। যদি সেই উপায়গুলো আপনার সহজেই জানা থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন পেটের কোন দিকে ছেলে সন্তান নড়াচড়া করছে। প্রচলিত কিছু ধারণা রয়েছে সেইগুলোর উপর নির্ভর করে আপনি দেখতে পারেন বাচ্চা কোন দিকে আছে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কোন ফলগুলো বেশি করে খাবেন
যেহেতু খুব দীর্ঘ সময় ধরে একটি বাচ্চাকে মায়ের গর্ভে অবস্থান করতে হয়, তাই বাচ্চাটি এদিক সেদিক নড়াচড়া করতেই পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই বাচ্চার সুস্থতার কথা ভাবতে হবে। যদি আপনি চিকিৎসকের কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই গর্ভের সন্তানের অবস্থান নির্ণয় করতে চান, তাহলে কিছু লক্ষণের উপর খেয়াল রাখতে হবে।
কিভাবে খুব সহজে ছেলে শিশু গর্ভে আসে
ছেলে শিশু গর্ভে আনতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু টিপস মেনে চলতে হবে। গর্ভের সন্তান ছেলে হতে পারে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে পিতা এবং মাতা উভয়ের উপরেই নির্ভর করতে হবে। যদি আপনি এই টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন।
তাহলে আপনার মেয়ে সন্তানের পরিবর্তে ছেলে সন্তানই জন্ম হতে পারে। তবে কি করলে খুব সহজে আপনার ছেলে শিশু গর্ভে আসবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে চলুন একটু ধারণা নেওয়া যাক।
- সব সময়ই পশ্চিম দিক করে মুখ রেখে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
- যদি সর্বপ্রথমেই বলা হয় তাহলে যিনি বাচ্চাটি গর্ভধারণ করবেন, সেই মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- যেহেতু এটি পিতার শুক্রানুর উপর নির্ভর করে তাই ক্রোমোজোমের কথা মাথায় রাখতে হবে।
- যদিও সমাজে ছেলে সন্তানের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে, তাই এটি পুরোপুরিভাবে একজন পিতার উপর নির্ভরশীল।
- পিতার শুক্রানুতেই ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্রোমোজোম বিদ্যমান থাকে।
- যদি পিতার কাছ থেকে ছেলে শুক্রাণু মায়ের ডিম্বানুতে প্রবেশ করে তাহলে একজন ছেলে বাচ্চা হতে পারে।
- তারপরেও একজন মাকে নিয়মিত সকালে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- প্রতি সপ্তাহে ঠিক সময়ে নিয়ম অনুযায়ী সেক্স করতে হবে।
- যেহেতু একজন পুরুষের শুক্রানু অনেক বেশি পরিমাণে শক্তিশালী হয় তাই ঠিকভাবে সেক্স চালিয়ে যেতে হবে।
- যদি অনাগত সন্তানের পিতা অ্যাসিডিক খাবার পরিহার করতে পারেন, তাহলে খুব বেশি পরিমাণে শুক্রানু ধরে রাখতে পারবেন।
- এক্স এবং ওয়াই ক্রোমোজোম বহনকারী এই শুক্রাণু নিষিদ্ধ হওয়ার পর পরই লিঙ্গ নির্ধারণ হয়।
ছেলে সন্তান কত মাসে হয়
আপনি হয়তোবা খুব সহজে ভাবছেন যে, ছেলে সন্তান হলে খুব তাড়াতাড়ি হয়তো প্রসব ব্যথা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তা মোটেও ঠিক নয়। কখনোই লিঙ্গের উপর নির্ভর করে ডেলিভারি টাইম নির্ধারণ হয় না। কারণ একটি পরিপূর্ণ ছেলে বাচ্চা তৈরি হতে মিনিমাম চল্লিশ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
যদিও অনেকেই বলে থাকেন যে এই সময়ের মধ্যে লেবার পেইন উঠতেই পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ডেলিভারি সময় পার হয়ে যায়। কিন্তু লেবার পেইন উঠছে না। এইক্ষেত্রে একটু সময় আরো অপেক্ষা করতে দেখা যায়। আবার অনেকে যেটি করে থাকে যে কোন সপ্তাহের জন্যই সে অপেক্ষা করে না।
যে কখন লেবার পেইন উঠবে সরাসরি একটি নির্দিষ্ট সময় পর সিজারের জন্যে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। যদিও নরমাল ডেলিভারি অনেক সময় দশ মাসের পরেই হয়ে থাকে। সিজার অনেক সময় বাচ্চার অবস্থার উপর নির্ভর করে কিছুটা সময় পূর্বেই করা হয়।
গর্ভাবস্থায় কোন লক্ষণে বুঝবেন সন্তান ছেলে না মেয়ে
গর্ভাবস্থায় সন্তান থাকাকালীন কতই না কথার আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। কারণ এই সময়ে শিশুটি ছেলে হবে না মেয়ে হবে এই বিষয় নিয়ে অনেকের মাঝেই চলে বিতর্ক। বিশেষ করে পরিবারের সদস্য যারা রয়েছেন, তারা অনেক বেশি পরিমাণে চিন্তিত থাকতে পারেন।
কিন্তু এর কিছু লক্ষণ রয়েছে যেইগুলো প্রকাশ পেলে বুঝতে পারা যায় যে, সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই লক্ষণের বিষয়গুলোতে কি রয়েছে।
- পিতার শুক্রানুর সাথে যদি মাতার ডিম্বাণু মিলিত হয়ে যায় তাহলে একটি ভ্রুণের সৃষ্টি হয়।
- আর যখনই গর্ভে একটি ভ্রুণ তৈরি হয়, বিশেষ করে তখন মায়ের কাছ থেকে তেইশটি করে ক্রোমোজোম যায়।
- সেই সময় থেকেই লিঙ্গ নির্ধারণ তৈরি হওয়া শুরু হয়ে যায়।
- তখনই লিঙ্গ নির্ধারণ হয়ে যায়। সেই ভ্রূণের ধীরে ধীরে চোখের মনি, ত্বকের রঙ এবং চুলের রঙ ধারণ করা শুরু হয়ে যায়।
- শিশুর যৌনাঙ্গ গর্ভাবস্থায় এগারো সপ্তাহের মাথায় ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে।
- এই অবস্থায় এগারো সপ্তাহ থেকেও কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে পরিষ্কারভাবে বুঝার জন্য।
- কারণ আল্ট্রাসাউন্ড ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে তখন আরও ভালোভাবে বোঝা যায়।
- তবে এই সময়ে মেয়ে হলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেয়েদের চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে।
- আবার অনেকের ধারণা এই সময়ে ছেলে হলে চেহারা খুবই উজ্জ্বল এবং সুন্দর মনে হয়।
- তবে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ক্ষেত্রে বমির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
ছেলে নবজাতক গর্ভাবস্থায় পেটের কোন পাশে থাকে
যদিও অনুমান করে কখনো বলা যায় না যে, একটি ছেলে নবজাতক গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটের কোন পাশে অবস্থান করে। কিন্তু ধীরে ধীরে বাচ্চা ভ্রুণ যত বেশি বড় হতে থাকে, তত বেশি বাচ্চাটির আকৃতি খুব বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। কারণ পেটের ভিতর বাচ্চাটি যখন বড় হয়।
তখন বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে বাচ্চাটি অনেক বেশি বড় হয়ে যায়। তখন বাচ্চাটির হাত পায়ের অবস্থান দেখে আন্দাজ করা যায় সে কোন দিকে অবস্থান করছে। বাচ্চার পজিশন নির্ণয় করা খুবই সহজ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই একটি বাচ্চা সেই সময়ে জরায়ুতে থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্যে অবস্থান করতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় গাজর কি ত্বক ফর্সা করে
খুব ভালোভাবে ডাক্তারি পরীক্ষা করে নিতে হবে। এতে করে বাচ্চার পজিশন জেনে নেওয়াটা আপনার জন্যে খুবই সহজ হবে। বিশেষ করে বাচ্চার ভিতরকার পজিশন অনেক সময় বাচ্চার মুখ পিঠের দিকটাতে ঘুরে থাকে। আবার বাচ্চার পিঠের যেই দিকটি সেটি আবার মায়ের পেটের দিকে অবস্থান করতে থাকে।
একটি ছেলে বাচ্চা যেই দিকেই অবস্থান করুক না কেন সব সময়ই আপনাকে বাচ্চার সুস্থতার কথা চিন্তা করতে হবে। এই সময়ে গুরুজনরা বলে থাকেন যদি মায়েরা বেশি করে ঝাল খেতে চায়, তাহলে ছেলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গর্ভাবস্থায় নাভি দেখে ছেলে সন্তান বুঝার উপায়
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের নাভি দেখেও বোঝা সম্ভব হতে পারে বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে হয়েছে। কারণ এই সময়ে অনেক ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে আপনি নাভি দেখে কিভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনার ছেলে সন্তান হয়েছে সেই বিষয়টি চলুন জেনে আসি।
১। যদি গর্ভাবস্থায় আপনার বেশি করে মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে, তাহলে অনেকেই মনে করে থাকেন মেয়ে সন্তান হয়েছে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান হলে মায়েরা অনেক বেশি সুন্দর হয়ে যাচ্ছে এই রকমটাও মনে করে।
২। আবার বেবি বাম্পের উপর নির্ভর করেও অনেকে আন্দাজ করে থাকে সন্তানটি ছেলে হয়েছে না মেয়ে হয়েছে। বেবি বাম্পের অবস্থান যদি একটু পেটের নিচের দিকটাতে ঝুলে যায়, তাহলেও অনেকে মনে করেন ছেলে হয়েছে।
৩। এই উদাহরণটির আরেকটি বিষয় রয়েছে যেমন অনেকে মনে করেন যে, যদি গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের বেবি বাম্প পেটের ঠিক মাঝামাঝিতে অবস্থান করে অথবা মাঝখান থেকে উপরের দিকে উঁচু হয়ে উঠে তাহলে মেয়ে সন্তান হয়েছে।
৪। এছাড়াও মেয়ে সন্তান হলে অনেক সময় মায়েদের ত্বক এবং চুল অনেক বেশি পরিমাণে তেলতেলে ভাব হতে থাকে। সেই সাথে শুরু হয়ে যায় ত্বকে অতিরিক্ত ব্রণ উঠা যা মেয়ে সন্তান আসার লক্ষণ হিসেবে অনেকে মনে করেন।
৫। যেসব মায়েদের গর্ভাবস্থায় মেয়ে সন্তান আসে তাদের বেশিরভাগই মেজাজ খারাপ থাকে। তারা স্বাভাবিক আচরণ করতে পারেন না। অল্পতেই অনেক বেশি পরিমাণে রাগারাগি করে থাকেন এবং অযথাই কান্নাকাটিও করতে থাকেন।
৬। তাই যদি আপনি নাভি দেখিয়ে ছেলে সন্তান নির্ণয় করতে চান, তাহলে পেটের অবস্থান দেখে নির্ণয় করার চেষ্টা করবেন। এখানে বলা হয়েছে যে পেটের নিচের অবস্থানটাই মূলত ছেলে সন্তান হওয়ার বিষয় হিসেবে ধরা হয়।
৭। আবার ছেলে সন্তান হলে অনেকে সবার লক্ষণ মাথায় রাখে যেমন নাভির দিক থেকে যখন ছেলে সন্তানটি একটু নাড়াচড়া করে। তখন মায়েরা বেশিরভাগ সময় বাম দিকে ফিরে শুয়ে থাকতে পছন্দ করেন।
৮। এই অবস্থায় একজন নব মায়ের জন্যে অনেক বেশি পরিমাণে লড়াই করতে হয়। সেই সাথে শুরু হয়ে যায় তার বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘুরিয়ে যাওয়ার মত অনেক ধরনের সমস্যা।
গর্ভকালীন সময়ে সন্তান ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
প্রত্যেক মায়েদের এই গর্ভকালীন সময়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ভুগতে দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ সময় ছেলে সন্তান হলে মায়েদের মুখ হাসিতে একদম উজ্জ্বল হয়ে উঠে। যদিও এটি আমাদের সমাজের একটি প্রথাগত অভ্যাস। গর্ভকালীন সময়ে একটি সন্তান ছেলে বা মেয়ে কোনটি হতে পারে তা আপনি কিভাবে বুঝতে পারবেন।
অবশ্যই এটি বুঝতে হলে আপনাকে এর কিছু লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। সন্তানটি ছেলে হলো না মেয়ে হলো এই বিষয়টি নিশ্চিতকরণ করাটা খুব বেশি সহজ হয়ে যায়। শেষের সময়টিতে যখন ভ্রুনটি ধীরে ধীরে একটু বড় হয়ে উঠে, তখন খুব ভালোভাবেই বোঝা যায় সন্তানটি ছেলে হলো নাকি মেয়ে হলো।
তবে আপনি যদি সন্তান ছেলে না মেয়ে এটিই বুঝতে চান, তাহলে আপনার পেটের দিকে খুব ভালোভাবে খেয়াল করতে পারেন। যদি আপনার কাছে মনে হয় আপনার পেট নিজের দিকে ঝুলে যাচ্ছে, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনার সন্তানটি ছেলে বাচ্চা হয়েছে।
আর যদি আপনার পেট মাঝখান থেকে নাভির দিকে উপরে উঠে যায়, তাহলে এই অবস্থায় আপনি মেয়ে সন্তান হয়েছে বলে ধরে নিতে পারেন। তারপরেও শুধু অনুমানের উপর ভিত্তি করে নয়। আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নেবেন।
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে কোন ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া কি বুঝা যায়
গর্ভকালীন সময়ে একটি বাচ্চা ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে এটি কোন ধরনের ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই অনেক সময় অনুমান করা যেতে পারে। কিন্তু এইক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোন পরীক্ষা করে নিলে অল্প সময়ের মাঝে বুঝতে পারবেন বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে হয়েছে। তারপরেও যদি আপনি ডাক্তারের পরীক্ষা ছাড়া বুঝতে চান তাহলে এর মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারেন।
- এর মধ্যে একটি হচ্ছে যদি গর্ভের সন্তান কোনোভাবে পেটের নিচের দিকে ঝুলে পড়ে, তাহলে বাচ্চাটি ছেলে হয়েছে বলে ধরে নিতে পারেন।
- আর যদি পেটের মাঝামাঝি অবস্থা থেকে উপরের দিকে ফোলে উঠে তাহলে মেয়ে হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয় এবং বদমেজাজি স্বভাব হয়ে যায়।
- আবার ছেলে হলে ঠিক তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে।
- অনেক সময় দেখা যায় ছেলে হলে বাম দিকে ফিরে শুতে অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করে।
- এছাড়াও রয়েছে অনেক আরো অন্যান্য অনেক ধরনের লক্ষণ।
- এই অবস্থায় মেয়ে সন্তান হলে অনেক বেশি পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং ছেলে হলে ঝাল বা টক জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন।
- যদি গর্ভের সন্তানের হ্নদস্পন্দন আপনি অনেক বেশি পরিমাণে বুঝতে পারেন, তাহলে সন্তানটি মেয়ে হয়েছে বলে ধরে নিতে পারেন।
গর্ভে থাকা ছেলে শিশুর হৃদস্পন্দন কিভাবে শুনবেন
ডাক্তারি পরীক্ষায় বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার কারণে গর্ভে থাকা শিশুর হৃদস্পন্দন বোঝা এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। পূর্বে যদিও শুধুমাত্র স্পন্দন বুঝার চেষ্টা করা হতো। গর্ভাবস্থায় যখন পঞ্চম সপ্তাহ শুরু হয়ে যায় তখন থেকে একটি ভ্রুণের হৃৎপিণ্ড তৈরি হওয়া শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ গাজরে থাকা পুষ্টিগুণ কি কর্মক্ষমতা বাড়ায়
ঠিক তার এক সপ্তাহ পর থেকে অর্থাৎ ষষ্ঠ সপ্তাহ থেকে শিশুটির হৃদস্পন্দন শুরু হয়ে যায়। এই সময়ে একটি শিশুর হৃৎপিণ্ড গর্ভে থাকা অবস্থায় এতটাই ছোট থাকে যে, আলট্রাসাউন্ড এর মত মেশিনে ধরা পড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। ঠিক তখন আট থেকে বার সপ্তাহে পৌঁছায় তখন শিশুটির স্পন্দন অনেক ভালো বোঝা যায়। আর তখনই হৃদপিন্ডে বাচ্চার অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক, গর্ভে থাকা অবস্থায় নিজের সন্তানের অবস্থান নির্ণয় করার জন্যে আপনার মন অস্থির হয়ে থাকতে পারে। গর্ভাবস্থায় কিভাবে বুঝবেন ছেলে নবজাতক পেটের কোন দিকে থাকে, এর সঠিক তথ্য পেয়ে বাচ্চার পজিশন নির্ণয় করা নিশ্চয়ই সহজ হয়েছে। বিস্তারিত পড়ে উপকৃত হলে বন্ধুদের শেয়ার করতে পারেন এবং মূল্যবান মতামত জানাতে পোস্টের নিচে মন্তব্য করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url