হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন

পানিশূন্যতার ফলে শরীরে কি সমস্যা হয়হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন তা জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। যেকোন উপায়ে জ্বর ও ঠান্ডা লাগার কারণে হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন না জানলেই বিপদ হতে পারে।
হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন
পানিশূন্যতায় রোগীর মুখ শুকিয়ে যেয়ে পিপাসা বেড়ে যায়
দীর্ঘদিন পানিশূন্যতায় ভুগলে সমস্যা ধীরে ধীরে আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। কারণ এই সময়ে আপনার মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং রক্ত প্রবাহ কমে যায়।

পেইজ সূচিপত্র

পানিশূন্যতা হলে বোঝার উপায় কি

হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন? যদি আপনার ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা থাকে তাহলে মাঝে মাঝে অতিরিক্ত বমিও হতে পারে। এই অবস্থায় জ্বর হওয়ার কারণে পানিশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। যদি এই পানিশূন্যতা অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়, তাহলে রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে বিপদের দিকেও ধাবিত হতে পারে।


হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যাটা এই রকম আকার ধারণ করতে পারে যেমন রোগীর মুখ শুকিয়ে যেয়ে পিপাসার পরিমাণ বাড়তে পারে। রোগীর চেহারা অনেক বেশি পরিমাণে লাল হয়ে যাবে এবং প্রয়োজনের থেকেও বেশি পরিমাণে পিপাসা লাগতে থাকবে। সেই সাথে যেই পরিমাণে পানি পান করবে তার চেয়েও কম পরিমাণে প্রস্রাব করতে পারে।

শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণসমূহ কোনগুলো

যখন অনেক বেশি পরিমাণে পানিশূন্যতা দেখা দিবে, তখন আপনার শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বের হয়ে যাবে। আপনি স্বাভাবিকভাবে কোন ধরনের কাজই করতে পারবেন না। পানিশূন্যতা সম্পর্কে যদি কোন ধরনের ধারণা পূর্ব থেকে নিয়ে রাখেন তাহলে সমস্যা হলে সমাধান করতে খুব সহজ হতে পারে।
শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণসমূহ কোনগুলো
প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেয়
তবে হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন। এর জন্যে প্রথমে আপনাকে পানিশূন্যতার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। যেই ধরনের লক্ষণগুলো শরীরে প্রকাশ পেলে পানিশূন্যতা হতে পারে চলুন সেই সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

  • যদি কখনো আপনার পেশিতে টান অনুভব করেন তাহলে সেই কারণে আপনার ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
  • শরীরে তরল পদার্থ যখন কমে আসবে তখনই এই ডিহাইড্রেশন এর সৃষ্টি হয়।
  • যদি কোনো কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে ধীরে ধীরে আপনার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
  • কিছুদিন পরপরই জ্বর আসতে পারে সেই সাথে ঠান্ডাও লাগতে পারে।
  • যা মূলত ডিহাইড্রেশনের প্রভাবে হয়ে থাকে এবং শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়।
  • হতে পারে আপনার মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি অনেক বেশি পরিমাণে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।
  • মূলত এটি পানিশূন্যতার কারণে হতে পারে। কিন্তু এই অবস্থায় আপনাকে প্রচুর পানি পান করতে হবে।
  • কোন কারণে হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন। যদি শরীর অহেতুক ঠাণ্ডা হয়ে আসে তাহলে শরীরে পানিশূন্যতার ঘাটতি দেখা দেয়।
  • ঝিমঝিম করে মাথা ব্যথা করতে পারে যা ডিহাইড্রেশন এর কারণে হয়ে যায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যায় আপনার পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • যদি আপনার প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয় ঠিকমতো না আসে, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে আপনাকে দৈনিক দুই থেকে আড়াই লিটার এর মত পানি পান করতে হবে।

হঠাৎ করেই কেন শরীরে পানিশূন্যতা হয়

নিয়মিত চলার রুটিনে আপনি হঠাৎ করেই পানিশূন্যতায় ভুগতে পারেন। কারণ শরীরে যখন অক্সিজেন গুলো স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করতে পারে না, তখন অতিরিক্ত পরিমাণে পানির ঘাটতি থেকে যায়। সেই সাথে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হতে থাকে।

যদি কোন অসুস্থতার কারণে আপনার শরীর থেকে নিয়মিত প্রবল বেগে পানি বের হয়ে যায়, তাহলে তা পানিশূন্যতায় রূপ নিতে পারে। এই রোগের মধ্যে ডায়রিয়া অন্যতম। কারণ ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ বের হয়ে যায়। যা ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে খারাপের দিকে নিয়ে যায়। 

সেই সাথে হতে পারে কলেরা, টাইফয়েড এবং অন্যান্য আরও অনেক ধরনের অসুস্থতা। যদি নিয়মিত আপনার অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার মত সমস্যা থাকে, তাহলে সেটিও পানিশূন্যতার কারণে হতে পারে। যদি অতিরিক্ত ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকে অথবা কায়িক পরিশ্রম করে থাকেন, তাহলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

কারণ এই সময়ে হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন? আপনি যদি পরিমিত পানি পান না করেন, তাহলে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এর মত সমস্যা। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অতিরিক্ত ঘুম হওয়া এবং অসময়ে ক্লান্তি অনুভব করার কারণেও আপনার পানিশূন্যতা হতে পারে।

পানিশূন্যতার সমস্যা হলে দূর করার উপায়

যদি আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না করেন, তাহলে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা এর মত সমস্যা। কারণ পানিশূন্যতা আপনার শরীরে পানির ঘাটতি হলেই হতে পারে। অনেক সময় আপনার আশেপাশের পরিবেশের তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
পানিশূন্যতার সমস্যা হলে দূর করার উপায়
ডিহাইড্রেশনকে প্রতিরোধ করতে ডাবের পানি
আপনার শরীরের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি নিয়মিত আপনার পানি কম পান করার অভ্যাস থাকে তাহলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিবে।

কিন্তু এই পানিশূন্যতা দূর করারও কিছু উপায় রয়েছে। যদি আপনি সেই উপায়ে চেষ্টা করেন তাহলে পানিশূন্যতা দূর করতে পারবেন। তাহলে আসুন জেনে নিই পানিশূন্যতা কিভাবে দূর করা যায়।

  • পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার জন্যে আপনাকে কখনো অপেক্ষা করা যাবে না।
  • হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন? এটি এমন একটি রোগ যা হঠাৎ করেই আপনার শরীরে হয়ে যেতে পারে।
  • তাই পূর্ব থেকেই আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে নিয়মিত পানি খেতে হবে।
  • যদি ডিহাইড্রেশনকে প্রতিরোধ করতে চান তাহলে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।
  • গুরুতর পর্যায়ে ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা সমাধান করতে প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্যে নিতে হবে।
  • পানিশূন্যতার ঘাটতি দূর করতে হলে আপনাকে নিয়মিত পুষ্টিকর ফল খেতে হবে।
  • যেই সকল ফলে পানীয় এর পরিমাণ অনেক বেশি, সেই সকল পানি জাতীয় ফল খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।
  • এছাড়াও ডাবের পানি, তরমুজ, কলা, বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খেতে পারেন।
  • প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অন্তত এক বেলা শাকসবজি ও ডাল জাতীয় খাবার রাখতে পারেন।
  • নিয়মিত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করার চেষ্টা করুন।
  • প্রয়োজনে ঘুম থেকে উঠেই সকালে এক গ্লাস পানি পান করুন।
  • যদি কখনো বাড়ির বাহিরে বের হয়ে মার্কেটে বা বাজারে যান তাহলে নিজের সাথে এক বোতল পানি রাখুন।

কোন ধরনের উপসর্গ হওয়ার ফলে পানিশূন্যতা হয়

পানিশূন্যতা যে শুধু হঠাৎ করেই দেখা দেবে তা কিন্তু নয়। শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ প্রভাব বিস্তার করতে পারে, যার ফলে আপনার পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। যদি কখনো আপনার এই রকম মনে হয় যে, আপনার মুখের লালা উৎপাদন কম লাগছে। তাহলে এই অবস্থায় আপনার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় পড়তে পারেন।

কারণ এতে করে আপনার মুখের ভেতর অনেক বেশি পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্ম হওয়ার কারণে আপনার মুখের ভিতর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে পানিশূন্যতার ঘাটতি ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে। যদি শরীর দুর্বল হয়ে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।

তাহলে তাড়াতাড়ি পানিশূন্যতার ঘাটতি পূরণ করতে নিজেকে তৈরি করুন। ডিহাইড্রেশন এর ফলে পেশিতে টানটান অনুভব হতে পারেন। কখনো খেয়াল করলে দেখবেন জিম করার পরে আপনার শরীরে পেশির মধ্যে হঠাৎ করেই টান লাগছে। এই অবস্থা আপনার ডিহাইড্রেশন এর কারণে হয়ে যায়।

বর্তমান সময়ে জ্বর এবং ঠান্ডা সবারই কমবেশি লেগেই থাকে। তাই এই অবস্থা কখনোই যেন আপনাকে পানিশূন্যতার দিকে না নিয়ে যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ লোকেরই ডিহাইড্রেশন হতে দেখা যায়। এই ধরনের উপসর্গগুলো পানিশূন্যতার দিকে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে। তাই সমস্যা হলে খুব তাড়াতাড়ি নিরসনের চেষ্টা করুন।

অতিরিক্ত পানিশূন্যতা হলে কোন ধরনের ফল খাবেন

শরীরে যখন আচমকা অতিরিক্ত পানিশূন্যতা দেখা দিবে তখন পানীয় জাতীয় ফল খেতে হবে। শরীরের বেশিরভাগ অংশই পানির ঘাটতিতে থাকতে পারে। তাই পানির ঘাটতি পূরণ করতে হলে শুধু পানি খেলেই চলবে না।
অতিরিক্ত পানিশূন্যতা হলে কোন ধরনের ফল খাবেন
দেহে পানির ঘাটতি পূরণ করতে স্ট্রবেরি
পানি খাওয়ার পাশাপাশি পানি জাতীয় যেই সকল ফল রয়েছে সেইগুলো খেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি নাই জানেন কোন ধরনের ফল পানীয় জাতীয় ফল তাহলে কি করে খাবেন। নিম্নরূপ থেকে সেই সকল ফল সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।

  • তরমুজকে নির্বাচন করতে পারেন যা আপনার শরীরের পানিশূন্যতার ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
  • যখন গ্রীষ্মের প্রখর রোদে আপনার অতিরিক্ত পানিশূন্যতা দেখা দিবে তখন ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ ফল খেতে পারেন।
  • এর মধ্যে লেবু অন্যতম। এছাড়াও তরমুজে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে যা আপনার পানিশূন্যতা দূর করে দিতে পারে।
  • নিয়মিত ফরমালিনমুক্ত আপেল খেতে পারেন যা আপনার রক্ত চলাচলকে সক্রিয় রাখবে।
  • সেই সাথে শরীরে শর্করা এর ঘাটতি পূরণ করে পানির মাত্রাকে ঠিক রাখবে।
  • অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল পেঁপে খেতে পারেন যা আপনার হজমে খুবই সহায়ক হবে।
  • যখন আপনি ফ্রুটস দিয়ে কোন ধরনের স্যালাদ তৈরি করবেন, এর সাথে কয়েক টুকরো পেঁপে মিক্স করে দিয়ে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কমলা খেতে পারেন।
  • ডিহাইড্রেশন এর মাত্রা কমাতে এবং পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে কমলা খুব ভালো কাজ করে।
  • আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী পানীয় আরেকটি ফল হচ্ছে স্ট্রবেরি।
  • স্ট্রবেরি নিয়মিত খেতে পারলে আপনার পানিশূন্যতা একেবারেই কমে যাবে।
  • তাই খাদ্য তালিকায় এই ধরনের পানীয় জাতীয় ফলগুলো রাখার চেষ্টা করতে পারেন।

শরীরে পানিশূন্যতা হলে কি ধরনের সমস্যা দেখা দেয়

পানিশূন্যতার ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের রোগ জটিলতা। যার মধ্যে একটি হচ্ছে প্রতিদিনের নিয়মিত সমস্যা মাথা ব্যথা করা যা বেশিরভাগ লোকেরই হয়ে থাকে। এই সমস্যাটাই মূলত হয় আপনার মস্তিষ্কে যদি কোন কারণে অক্সিজেন এবং রক্ত প্রবাহ অনেক বেশি পরিমাণে কমে আসে।

ঝিমঝিম করে মাথাব্যথা করতে পারে। এই অবস্থায় আপনার ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কারণ আপনার মস্তিষ্কে যখন পানির ঘাটতি দেখা দিবে তখন পানিশূন্যতা এর সমস্যা হয়ে থাকে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এতে করে আপনার জ্বালাপোড়া এবং হজমের সমস্যা বেড়ে যাবে।
পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন হলে এর চিকিৎসা কি
অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশন এর সমস্যায় খাবার স্যালাইন
সেই সাথে শরীরে পানির মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। যদি নিয়মিত প্রস্রাব না করেন তাহলে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা। নিজের অবসন্ন এবং অমনোযোগী ভাব দূর করতে নিয়মিত আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কারণ শরীরে যখন পানির পর্যাপ্ত ঘাটতি হয়ে থাকে।

তখন শরীর ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের উৎপত্তি করে। শরীরে যখন রোগ হয় তখন বোঝা যায় যে শরীর কতটা দুর্বল হয়। কিন্তু যখন আপনি স্বাভাবিক থাকেন তখন কিন্তু চাইলেই আপনি এই পানিশূন্যতার সমস্যা দূর করতে পারেন।

আবার হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন? কিন্তু যখন সমস্যা প্রবল হয় তখন সেটির কথা মাথায় আসে। শরীরে অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশন হলে বিভিন্ন রোগবালাই আপনা থেকেই সৃষ্টি হয় যা নিরসন করা পরবর্তীতে কঠিন হয়ে পড়ে।

পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন হলে এর চিকিৎসা কি

পানিশূন্যতা হলে প্রাথমিকভাবে এর চিকিৎসা আপনি নিজেই করতে পারবেন। কারণ পানিশূন্যতা দেখা দিলে ঘরোয়া ভাবে এটি থেকে মুক্তি পাবার উপায় রয়েছে। যদি সেই চিকিৎসা আপনার নিজেরই জানা থাকে, তাহলে খুব সহজেই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা কিভাবে নিতে হয়।

  • পানিশূন্যতা থেকে যদি বের হয়ে আসতে চান, তাহলে আপনার শরীরের ঘাটতি জনিত লবণ এবং পানির ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
  • এর জন্যে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। সেই সাথে খাবার স্যালাইন খেতে পারেন।
  • তরল জাতীয় যেকোন ধরনের খাবার খেতে পারেন।
  • এর মধ্যে আপনি ডাবের পানি খেতে পারেন যা খুবই কার্যকরী।
  • সেই সাথে খেতে পারেন ফলের জুস অথবা পানীয় ফল যা ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
  • শুধু তাই নয় আপনি ভাত রান্না করার পরে যেই মাড় থাকে সেটিও পানিশূন্যতার ঘাটতি পূরণের জন্যে খেতে পারেন।
  • যদি আপনার বাড়িতে কোন ধরনের স্যালাইন না থাকে তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি স্যালাইন বানিয়ে খেতে পারেন।

হঠাৎ শরীরে পানিশূন্যতা হলে প্রতিরোধের উপায়

পানিশূন্যতা থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে আপনাকে নিয়মিত পানি পান করতে হবে। কিন্তু যদি পরিমিত পরিমাণে পানীয় খাবার না খান তাহলেই ঘটতে পারে নানা বিপত্তি। এই সমস্যাকে কমাতে হলে আপনাকে নিয়মিত ঠিকভাবে পানীয় খাবার খেতে হবে।

প্রয়োজনে আপনি যখন অফিস বা রাস্তায় চলাচল করবেন, নিজের সাথে এক বোতল পানি রাখতে পারেন। যেন আপনার পিপাসা পেলে সাথে সাথেই পানি খেতে পারেন। আপনার খাদ্য তালিকায় পানি জাতীয় ফল এবং সবজি রাখতে হবে।

কারণ যদি পানীয় ফল নিয়মিত খান তাহলে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর জন্যে বাছাই করে নিতে পারেন তরমুজ, টমেটো, বাঁধাকপি, শসা, কমলার জুস, লেবু, স্ট্রবেরি এবং অন্যান্য আরও পানীয় জাতীয় ফল যা পানির ঘাটতি পূরণ করে।

শেষকথা

প্রিয় পাঠক, শরীরে পানিশূন্যতা দূর করার কথা হয়তো ভাবছেনই না। কিন্তু এই রকম হলে ধীরে ধীরে ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা প্রবলভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে। তাই আপনি হঠাৎ করেই শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কি করবেন তা পূর্ব থেকে জেনে রাখলে সমস্যা হলে সমাধান করতে সহজ হবে।


অনুচ্ছেদ থেকে বিস্তারিত পড়ে পানিশূন্যতা এর পরামর্শ ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী পানির ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করতে পারেন। সেই সাথে কোন বিষয়ে যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে বলতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url