চোখের নিচের কালো দাগের স্তর কি করলে সমাধান করা যায়

চোখের নিচের কালো দাগের স্তর কি করলে সমাধান করা যায় তার কিছু টিপস নিয়ে আজকের আলোচনা। চোখের নিচের কালো দাগের স্তর কি করলে সমাধান করা যায় না জানার ফলে চোখের গর্ত ও দাগ হয়তো আরো বাড়তে পারে। তাই চোখের নিচের কালো দাগের স্তর কি করলে সমাধান করা যায় চিন্তার নিরসন করতে নিম্নরূপে পড়ুন।
চোখের নিচের কালো দাগের স্তর কি করলে সমাধান করা যায়
দীর্ঘদিনের কালো দাগ চোখের নিচ থেকে খুব সহজেই যেতে চায় না। এর জন্যে দরকার হয় স্থায়ী কোন সমাধানের যা আপনি ব্যবহার করার মাধ্যমে কালো দাগ দূর করতে পারবেন। অনেকে আবার বিভিন্ন রকমের ক্রিম ব্যবহার করে। যার মাধ্যমে চোখের নিচের কালো দাগ খুব তাড়াতাড়ি দূর হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতি হয় এবং চোখের নিচের চামড়া ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যায়।

পেইজ সূচিপত্র

ভূমিকা

চোখের নিচের কালো দাগ কখনো একদিনেই পড়ে যায় না। এটি অবশ্যই ধীরে ধীরে সময় নিয়ে দাগ গাঢ় হয়ে পড়তে থাকে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে হয়তো অনেকে সিরাম ব্যবহার করে বা ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করতে চায়। কিন্তু যখন কোন কিছু ব্যবহার করে কোন কাজ হয় না তখন সেটি খুবই জটিল দিকে চলে যায়।


অনেক সময় মানসিক চাপে পড়ে অথবা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হলে চোখের নিচের কালো দাগ স্থায়ীভাবে পড়ে যায়। এইভাবে যদি চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়, তাহলে বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতির কারণেও অনেক সময় এই রকম হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে যখন ক্লান্তি ভাব চলে আসে, রাতে নিয়মিত ঠিক সময়ে না ঘুমালে এবং অতিরিক্ত ঘুমের কারণেও এই চোখের নিচের কালি হতে পারে।

চোখের নিচে কেন কালো দাগ পড়ে

চোখের নিচের কালো দাগ আসলেই কি কারণে পড়ে যায় এটি ঠিক করে বলাটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তারপরেও যদি আপনি খুব ভালোভাবে পূর্ব থেকে সতর্ক থাকেন, তাহলে কালো দাগ হওয়ার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিতে পারবেন। চোখের নিচের কালো দাগ যেই সকল কারণে পড়তে পারে তার কিছু ধারণা সম্পর্কে চলুন জেনে আসি।

  • যদি কম ঘুমানোর অভ্যাস থাকে তাহলে চোখের নিচের কালো দাগ খুব তাড়াতাড়ি পড়ে যায়।
  • কারণ এই সময়ে দেখা যায় আপনার ত্বকের যেই কোষগুলো রয়েছে সেইগুলো গভীরভাবে খুবই ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়।
  • শরীরের ক্লান্তি না থাকলেও ভালোভাবে না ঘুমানোর কারণে কালো দাগ হয়।
  • যদি বংশগতভাবে এই সমস্যা থাকে তাহলেও চোখের চারপাশ কালো হয়ে যেতে পারে।
  • গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় হলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যেতে পারে।
  • ধূমপানের ফলে চোখের নিচের কালি পড়তে পারে।
  • যাদের শরীরে পানিশূন্যতা এবং থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদের চোখের নিচে কালি হয়।
  • অতিরিক্ত সূর্য রশ্মির কারণে চোখের নিচের কালি পড়তে পারে।
  • এমনকি বার্ধক্য জনিত সমস্যার কারণেও চোখের নিচে কালো হয়। 

চোখের নিচের কালো দাগ কোন রোগের লক্ষণ

চোখের নিচে কালো দাগ পড়ার পিছনে কিছু কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এর পিছনে কিছু লক্ষণও বিদ্যমান রয়েছে। যা প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে যে আপনার চোখের নিচে কালো দাগ পড়া শুরু হয়েছে। এটি হতে পারে যদি আপনার অনিদ্রার থাকার অভ্যাস থাকে, পরিশ্রম করার কারণে ক্লান্তি অনুভব করেন খুব বেশি পরিমাণে ঘুমানোর স্বভাব থাকে।

চোখের নিচে কালি পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই কালো ছোপ দাগ একদিনেই পড়ে যায় না। নিয়মিত যখন রাতে ঘুমাবেন না তখন আপনার শুধু চোখই নয় ধীরে ধীরে ত্বকও উজ্জ্বল ভাব হারিয়ে ফেলবে। এমনকি চোখের উপরে এবং নিচে ফোলেও যেতে পারে। বেশি পরিমাণে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চোখের আশেপাশে চুলকানি হতে পারে।

সেই সাথে লালও হয়ে যেতে পারে। যখন আপনার রক্তনালীতে বিদ্যমান ভিটামিন প্রসারিত হয়ে যায়, তখনই চোখের নিচে ধীরে ধীরে কালো ছোপ ছোপ দাগ গাঢ় হতে থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় আপনার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। এতে করে আপনার ত্বক শুষ্ক এবং দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

টুথপেস্ট দিয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূরীকরণ

খুবই অবাক হচ্ছেন যে টুথপেস্ট ব্যবহার করেও চোখের নিচের কালো দাগ দূর করা যায়। কিন্তু অবাক হলেও এটিই সত্যি যে, আপনি এটি ব্যবহারের মাধ্যমে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তাই টুথপেস্ট ব্যবহার কিভাবে করবেন এবং চোখের নিচের কালো দাগ খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে তার একটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে চলুন জেনে নিই।

  • প্রথমত, টুথপেস্ট এর সাথে অ্যালোভেরা এবং গোলাপ জল মিক্স করে নিতে হবে।
  • এরপর সবগুলো ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
  • পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে চার থেকে পাঁচ মিনিটের মতো আলতো ভাবে লাগানোর চেষ্টা করুন।
  • এই অবস্থায় ঠান্ডা পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • নিঃসন্দেহে ভাবতে পারেন এর সাথে মিশ্রিত অ্যালোভেরার জেল চোখের কালো দাগ দূর করে দিতে সাহায্যে করবে।
  • কিন্তু এখানে টুথপেস্ট যেহেতু ব্যবহার করেছেন তাই আপনার চোখে ব্যবহার করার পর অনেকটা আরাম লাগতে পারে।
  • যখন নিয়মিত এইভাবে এটি ব্যবহার করবেন তখন ধীরে ধীরে চোখের কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর হয়ে যাবে।
  • খুব শীঘ্রই আপনার চোখের নিচে পূর্বের চেয়ে সুন্দর হয়ে উঠবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচের কালো দাগ হয়

আপনি হয়তো মনে করছেন চোখের নিচে কালো দাগ পড়লেই আপনাকে রূপচর্চা করতে হবে। আসলে তা নয় চোখের নিচে কালো দাগ যদি একবার পড়ে যায় জটিলভাবে, তাহলে সেটি উঠানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও ডাক্তারি চিকিৎসায় বলা হয় যে ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে।

তবে এইক্ষেত্রে আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার চোখে নিচের কালো দাগ পড়তে শুরু করে দিবে। এর পাশাপাশি আপনার শরীরে কিছু লক্ষণের উপর ভিত্তি করে আপনি নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন। এর মধ্যে হলো খুব সহজে আপনার ঘুম আসবে না, আপনার মাথা থেকে চুল ঝরে পড়বে।


মাঝে মাঝে বেশি পেশিটান লাগতে পারে। অহেতুক ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা করতে পারে। ভিটামিন ডি যুক্ত যেই খাবারগুলো রয়েছে আপনাকে তা নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি আপনি এর ঘাটতি পূরণ করতে সূর্যের সাহায্যে নিতে পারেন।

চোখের নিচের কালো দাগের স্তর কি করলে সমাধান করা যায়? এর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘন্টার মত যদি আপনি সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে আপনার শরীরে খুব তাড়াতাড়ি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে। পাশাপাশি আপনাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারগুলো নিয়মিত খেতে হবে।

কি ব্যবহার করলে চোখের নিচে কালো দাগ দূর হবে

চোখের নিচে কালো দাগ একবার পড়ে গেলে খুব সহজে এটি উঠানো যায় না। সেই হিসেবে আপনি যদি বাজারের কম দামি পণ্য ব্যবহার করে কালো দাগ উঠাতে চান, তাহলে এটি অহেতুক টাকা নষ্ট ছাড়া আর কিছুই হবে না। তাই চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে হলে আপনাকে এর সঠিক প্রক্রিয়া জানতে হবে যা নিম্নরূপে দেখুন।

  • ক্যাফেইন যুক্ত যেকোন ধরনের সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।
  • এতে করে আপনার চোখের শুষ্ক ভাব অনেক বেশি কমে যাবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখের নিচে আপনি আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • ম্যাসাজ করার মাধ্যমেও আপনি এই চোখের নিচের দাগ কমাতে পারেন।
  • এতে করে চোখের নিচের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ভাবে হতে পারে।
  • বাড়িতে থাকা শসা ব্যবহারের মাধ্যমে দাগ কমে আসবে।
  • মাঝে মাঝে গোলাপ জল কিছুটা তুলোয় নিয়ে চোখের নিচে ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঠান্ডা বরফকে কাপড়ের ভিতর পেঁচিয়ে নিয়ে কিছু সময়ের জন্য চোখের নিচে ধরে রাখতে পারেন।
  • এভাবে আপনি যদি নিয়মিত প্রক্রিয়াগুলো মেনে চলেন, তাহলে চোখে নিচের কালো দাগ খুব শীঘ্রই দূর হয়ে যাবে।

কিভাবে চোখের নিচে কালো দাগ ও গর্ত দূর করবেন

যদি আপনি চোখের নিচের কালো দাগ এবং গর্ত দূর করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রতিদিন নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখতে হবে। প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত চাপ নিজের উপর নেওয়া যাবে না। নিয়মিত ঘুমাতে হবে। আপনি যখন সারাদিন অতিরিক্ত পরিমাণে পরিশ্রম করে আসবেন, তখন সেই ক্লান্তি দূর করতে হলে রাতে খুব ভালো করে ঘুমাতে হবে।

আপনার শরীর পানিশূন্যতায় ভুগছে কিনা সেই বিষয়ে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে চোখের নিচে কালো ছোপ দাগ পড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ শরীরে যদি পানির ঘাটতি থাকে তাহলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করাটা খুবই সমস্যা হয়ে যায়। বিভিন্ন টাইপের ভিটামিন যুক্ত খাবার এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে।

চোখ হাত দিয়ে বারবার কচলানো থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রয়োজনে এই অবস্থায় চোখে অনেক বেশি পরিমাণে পানি ব্যবহার করবেন। চোখের নিচের কালো দাগের স্তর কি করলে সমাধান করা যায় তা বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দূর করার চেষ্টা করবেন। অনেক বেশি মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় চোখের নিচে শসা গোল করে কেটে দিয়ে রাখতে পারেন।

ঘরোয়া উপায়ে চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায়

আপনার যদি পার্লারে যেয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে থাকেন, তাহলে এটি বাদ দিয়ে আপনি বাড়িতে বসেই চাইলে এটির সমাধান করতে পারেন। এর জন্যে আপনার বাড়িতে থাকা প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো দরকার হতে পারে। আপনাকে জেনে নিতে হবে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে হয়। এই বিষয়ে চলুন বিস্তারিত দেখি।

  • একটি টমেটো খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।
  • অথবা চাইলে টমেটোর রসও সংগ্রহ করে নিয়ে এর সাথে লেবুর রস মিক্স করতে পারেন।
  • চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে এর সাথে পুদিনা পাতার রসও যুক্ত করে নিতে পারেন।
  • ত্বকের কালো দাগ দূর করতে হলে আলুর পেস্টও খুবই উপকারী।
  • নিয়মিত আলুর রস চোখের নিচে ব্যবহার করলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দাগ দূর হতে পারে।
  • বাড়িতে যদি ঠান্ডা কাঁচা দুধ থাকে সেটিও ব্যবহার করতে পারেন।
  • চোখের নিচে শসার রস খুব বেশি কার্যকরী। কারণ এতে পর্যাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
  • তবে শসার রসের সাথে আপনি চাইলে লেবুর রস মিক্স করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঔষধ

যেহেতু চোখের নিচের চামড়া খুব বেশি নরম হয়ে থাকে এবং পাতলা হয়। তাই এই জায়গায় আপনি সিরাম জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে নির্দেশিকা অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। চোখের নিচের কালি দূর করার জন্যে বিভিন্ন রকম ওষুধ রয়েছে।


এর মধ্যে ভিটামিন সি প্লাস আলফা হাইড্রোক্সাইড অ্যাসিড মিক্স করা ক্রিম রয়েছে। যা চোখের নিচে লাগালে খুব সহজেই দাগ দূর হয়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রকম আই ড্রপস। রেডিসম আই ড্রপস এবং জেনোভে অ্যান্টি ডার্ক সার্কেল ক্রিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দিনে রাতে দুই থেকে তিন বারের মতো ব্যবহার করলে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারেন।

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, চোখের নিচে সমস্যায় ভুগেন না এই রকম খুব কম লোকই খুঁজে পাওয়া যাবে। যখন এই চোখের নিচে কালো দাগ খুব বেশি গভীর হয়ে যায়, তখন তা নিরসন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এখন আর দুশ্চিন্তা নয়। চোখের নিচের কালো দাগের স্তর কি করলে সমাধান করা যায় তার সঠিক টিপস পোস্টে পেয়েছেন।

বিস্তারিত পড়ে চোখের নিচের কালো দাগ এখন দূর করার চেষ্টা করতে পারেন। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আশেপাশের বন্ধুদের শেয়ার করতে পারেন। আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে পোস্টের নিচে মন্তব্য করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url