নবজাতকের ত্বক ফর্সা করতে গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের খাবার খাবেন
নবজাতকের ত্বক ফর্সা করতে গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের খাবার খাবেন তা জানা আপনার জন্যে খুবই প্রয়োজন হতে পারে। তাই নবজাতকের ত্বক ফর্সা করতে গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের খাবার খাবেন তা এখনই জানুন। নবজাতকের ত্বক ফর্সা করতে গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের খাবার খাবেন তার একটি তালিকা সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক।
ত্বক ফর্সা কে না চায় তাই অনাগত সন্তানের জন্য গর্ভাবস্থা থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে নবজাতক গায়ের রঙ পেয়ে থাকে এটি বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। যদিও এটি খাদ্য নির্বাচনের উপরও নির্ভর করে না। তারপরেও জাফরান দুধ, নারিকেলের সাদা শাঁস, ডিমের সাদা অংশ, দুধ এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাবেন।
পেইজ সূচিপত্র
ভূমিকা
অনাগত সন্তানের ত্বক ফর্সা হতে হলে আপনাকে গর্ভাবস্থা থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এর জন্যে এই সময়ে প্রয়োজন আপনার বাড়তি যত্নের। তবে প্রয়োজনীয় খাদ্য তালিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ে শিশুটির মস্তিষ্ক খুব ভালোভাবে বিকশিত হতে থাকে। যদি জাফরানের দুধ এবং নারিকেল গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন।
তাহলে বাচ্চার ত্বক অনাগত থাকা অবস্থা থেকেই ফর্সা হতে শুরু করবে। যদিও এটি জিনগত হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় থাকার তিন মাস পূর্ব থেকেই ডিমের সাদা অংশ গ্রহণ করার ফলে বাচ্চার ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা হবে। কারণ বেশিরভাগ পুষ্টিগুণ উপাদান ডিমের সাদা অংশে বিদ্যমান রয়েছে।
এছাড়াও উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্টের জন্যে চেরি ও বেরি জাতীয় ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে। টমেটোতে যেই পরিমাণে প্রয়োজনীয় লাইকোপেন বিদ্যমান তা সূর্যের ক্ষতিকারক আলোক রশ্মি থেকে গর্ভের সন্তানকে বাঁচিয়ে ত্বকের রঙ ফর্সা করতে পারে। আয়োডিনযুক্ত খাবারের সাথে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন যার ফলে বাচ্চার মেধাশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
যেই সকল খাবার গর্ভাবস্থায় খাবেন
গর্ভকালীন সময়ে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরী। যদিও এতে করে আপনার একই রকমের খাবারের তালিকা না থাকায় খাবার খেতে সমস্যাও হবে না। যদি আপনার অতিরিক্ত ক্ষুধা লেগে যায়।
সেইক্ষেত্রে বারবার রুচির কারণে একসাথে অনেক খাবার খেয়ে ফেলবেন না। পরিমিত পরিমাণে একটু পরপর খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অনেক ধরনের খাবার গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য প্রয়োজন হতে পারে। আসুন সেই বিষয়ে ধারণা নেয়া যাক।
- অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য রক্ষায় সুষম পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- যার মধ্যে ভিটামিন এবং মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকতে হবে।
- এই সময়ে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে।
- গর্ভবতী নারীর খাবারের তালিকায় লাল চালের ভাত, গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি, ডিম, দুধ, মাছ এবং ঘন ডালসহ আরো অন্যান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
- অ্যান্টি অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যাতে করে অনাগত শিশুর স্মৃতি শক্তি বাড়াতে পারবে।
- গর্ভাবস্থায় যমজ শিশুর ক্ষেত্রে ছয়শো ক্যালোরি পরিমাণ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- তবে যদি তিনটি শিশু গর্ভাবস্থায় থাকে সেইক্ষেত্রে নয়শো ক্যালোরি খাবার অতিরিক্ত খেতে হবে।
- যেহেতু কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা এই সময়ে হতে পারে, তাই ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- এর মধ্যে রাখতে পারেন ব্রকলি, শাকসবজি, ছোলা, সবুজ মটর, ওটস, বাদামী ভাত সহ অন্যান্য আরো কিছু খাদ্যাবলী।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় শিশুর মানসিক বিকাশের জন্যে প্রয়োজন হয় সুষম পুষ্টিকর খাদ্য। যেই ধরনের খাবার বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ বৃদ্ধি করতে পারে। অবশ্যই খাবার খাওয়ার সময় লক্ষ রাখতে হবে যে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। তবে বাচ্চার বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য যা খেলে উপকার হতে পারে সেই ধরনের খাবারগুলো তালিকায় রাখতে হবে।
অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার এর সাথে বাদাম খেতে পারেন। কারণ বাদাম খাওয়ার ফলে আপনি যেকোন বয়স থেকেই আইকিউ লেভেলকে বাড়াতে পারবেন। তবে এইক্ষেত্রে অনাগত শিশুর জন্য এটি খুবই উপকারী হতে পারে। শুধু গর্ভাবস্থায় নয় শিশুর জন্মের ঠিক ছয় মাস পর থেকে যদি দুধের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার, সুজি এবং বাদামের গুঁড়া মিক্স করে খাওয়াতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ আমলকির পুষ্টিগুণ বেশি পেতে কিভাবে খাবেন
তাহলে ধীরে ধীরে শিশু গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন মেধা শক্তি খুব প্রখর হতে পারে। প্রোটিন ও ক্যালোরির চাহিদা পূরণ করার জন্যে বাচ্চার নিউরো ট্রান্সমিটারকে উন্নত করতে পারে। এর জন্যে আপনি খিচুড়ির সঙ্গে ডিমের কুসুম দিতে পারেন। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন আপনি ওমেগা থ্রি যুক্ত যেই ধরনের খাবারগুলো রয়েছে সেইগুলো খেতে পারেন।
পাশাপাশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার, আঁশ বা ফাইবার যুক্ত খাবার, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি যুক্ত আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেতে পারেন। যার মধ্যে চিংড়ি, ভূট্টা, সামুদ্রিক মাছ, কলিজা এবং আরো অন্যান্য খাবারগুলো খেতে পারবেন।
কোন ধরনের খাবারে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা ফর্সা হয়
যেই ধরনের খাবার গুলো গর্ভাবস্থায় থাকার সময়ে বাচ্চাকে ফর্সা করতে পারে সেই খাবারগুলো খেতে পারেন, আপনি নবজাতকের ত্বক ফর্সা করতে গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের খাবার খাবেন সেই ধরনের খাবার গুলো যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে অনাগত অবস্থায় থাকলে শিশুর গায়ের রঙ ফর্সা হবে। এর জন্যে প্রয়োজন সঠিক পুষ্টিকর উপাদান মূলক খাবার খাওয়া।
- গর্ভাবস্থায় অনাগত শিশুর গায়ের রঙ ফর্সা করতে আপনি কমলা খেতে পারেন।
- কারণ এতে হয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি যা শিশুর ত্বক উজ্জ্বল করতে পারে।
- নারিকেলের সাদা শাঁস গর্ভাবস্থায় অনাগত শিশুর জন্য গায়ের রঙ ফর্সা করতে খুব ভালো কাজ করে।
- তবে এর জন্যে আপনি অতিরিক্ত নারিকেল খাবেন না। এতে করে আপনার হিতে বিপরীত হতে পারে।
- জাফরান এর সাথে দুধ মিক্স করে খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় শিশুর গায়ের রঙ ফর্সা করতে খুবই উপকারী হতে পারে।
- ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরি জাতীয় ফল এই সময়ে অনাগতদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- তিন মাসের সময় নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ খাওয়া খুবই পুষ্টিকর হতে পারে।
- অনাগত সন্তানের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার্থে দুধে আলতা রঙ এর জন্য উপরের উল্লেখিত খাবারগুলো খুবই কার্যকরী।
গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা। পেটের বাচ্চা ফর্সা হওয়ার খাবার
পেটের বাচ্চা ফর্সা করতে কে না চায়। তার মধ্যে নিশ্চয়ই আপনিও একজন যে আপনার অনাগত সন্তানের গায়ের রঙ ফর্সা করতে চাচ্ছেন। যদি গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চা ফর্সা করতে চান, তাহলে গর্ভকালীন অবস্থায় নিয়মিত কিছু খাবারের তালিকা মেনে খাবার খেতে হবে। যদি আপনি নিয়মিত এই খাবারের তালিকা মেনে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেন।
তাহলে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আপনি খুব সহজেই বাচ্চার গায়ের রঙ দেখে খুব আন্দোলিত হতে পারেন। তাই শিশুর ত্বকের সৌন্দর্যের পাশাপাশি হাড়ের গঠনের জন্য আপনাকে নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে শুধু হাড় গঠনই নয় ত্বকের রঙ ফর্সা করতেও এটি খুব ভালো কাজ করে।
আয়রন ও ফলিক এসিড যুক্ত খাবার খেতে পারেন। যার ফলে শিশুর গায়ের রঙ শুধু ফর্সাই করেনা বরং শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য এটি তৈরি হয়। অনাগত সন্তানের কোন ধরনের জন্মগত ত্রুটি না থাকার ক্ষেত্রেও এই ধরনের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের কোন খাবার প্রয়োজন
গর্ভকালীন সময়ে যদি আপনি খাবারের তালিকা নিয়ে সচেতন না থাকেন, তাহলে আপনার অনাগত সন্তান পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই এই সময়ে আপনাকে সুষম খাবার তালিকা অনুযায়ী খেতে হবে। সঠিক উপায়ে তালিকা করে খাবার খেলে বাচ্চার আইকিউ যেইরকম ভালো হবে ঠিক তেমনি শিশুটিও দেখতে অনেক উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে। আসুন খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর নমুনা সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাক।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়মিত খাবারের তালিকায় মাছ, ডিম, দুধ রাখতে হবে।
- ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং অন্যান্য ক্যালোরি যুক্ত খাবার রাখতে হবে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চেরি ও বেরি জাতীয় ফল খেতে হবে।
- বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুট এবং পাম ফ্রুট জাতীয় খাবার, কিসমিস, খেজুর খাবেন।
- স্যামন, ম্যাকারেল, টোনা ফিস এবং আরো অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে, যেখানে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান রয়েছে।
- স্নায়ু কোষ গঠনের জন্য দই খেতে পারেন কারণ এতে যেই ক্যালসিয়াম রয়েছে তা গর্ভের শিশুর জন্য খুবই ভালো।
কোন খাবারে নবজাতকের ত্বক গর্ভাবস্থায় ফর্সা হয়
যদি গায়ের রঙ কালো হয় তাহলে অনেকেই এর ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বাজারে যদিও পর্যাপ্ত ফেয়ারনেস ক্রিম রয়েছে, ত্বক ফর্সা করার জন্য কিন্তু জন্মগতভাবে যদি আপনার ত্বক ফর্সা হয় তাহলে এই ধরনের ক্রিমগুলো আপনার প্রয়োজন নাও হতে পারে। যদি এই অবস্থায় শিশু জন্মের সময় থেকেই দুধে আলতা রঙ নিয়ে পৃথিবীতে আসে।
আরো পড়ুনঃ পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম গুলো দেখুন
তাহলে বিভিন্ন ধরনের ফেয়ারনেস ক্রিমের খরচ যেমন বেঁচে যায়, ঠিক তেমনি সেই শিশুটির কদরও অনেক বেশি থাকে। এইক্ষেত্রে অনাগত বাচ্চাটি খুব সহজেই পরিবারের সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে। বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন মেখে বাহিরে বের হওয়া, দুধের সর ব্যবহার করা এবং ডাল বাটা সহ আরও বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার না করে খুব সহজেই ফর্সা হতে পারে।
এর জন্যে আপনাকে নিয়মিত কমলালেবু খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এর পাশাপাশি টমেটো, চেরি ও বেরি জাতীয় ফলগুলো খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ খাবেন এবং নারিকেলের সাদা শাঁস খুবই ফর্সা করতে পারে।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক, নবজাতকের ত্বক ফর্সা করতে গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের খাবার খাবেন তার একটি সঠিক তালিকা নিশ্চয়ই এখন পেয়েছেন। গর্ভাবস্থায় অনাগত সন্তানের ত্বক ফর্সা করার বিষয়গুলো পড়ে আপনি নিজেকে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুব সহজেই সচেতন করতে পারেন।
অনুচ্ছেদের প্রতিটি বিষয়ে যদি উপকৃত মনে হয় তাহলে সকল বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। আপনার মূল্যবান মতামত দিতে পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। অজানা আরও কিছু বিষয়ে পোস্ট দেখতে ওয়েবসাইট ভিজিট করে আসতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url