হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি
বর্তমানে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে হোন্ডা ব্যান্ড। হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি এ বিষয়ে অনেকেই জানেন না। দেশের বাজারে বৃহৎ চাহিদার এই হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি তা আমাদের জানতে হবে। আজকের পোস্টে আলোচনা করব হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি তার সম্পর্কে।
বর্তমানে বাংলাদেশে হোন্ডার আধিপত্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এমতাবস্থায়
আমরা অনেকেই কিন্তু জানিনা যে হোন্ডা কোন দেশের মালিকানাধীন। আমাদের আজকের এই
আর্টিকেলটি লেখার মূল উদ্দেশ্য হোন্ডা কোন দেশের মালিকানাধীন কোম্পানি তা নিয়ে।
পোস্ট সূচীপত্র | হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি
- হোন্ডা কোম্পানির মালিক কে
- হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি
- হোন্ডা বাইক বাংলাদেশ
- কেনো হিরো হোন্ডা থেকে বিচ্ছেদ হয়
- শেষ কথা
হোন্ডা কোম্পানির মালিক কে
দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন বাইক এখন হোন্ডা ব্যান্ড। যত দিন
যাচ্ছে বাইক লাভারদের চাহিদার শীর্ষে হোন্ডা। হোন্ডা সম্পর্কে জানেন না বা
হোন্ডা বাইকের নাম শোনেননি এমন কেউ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই অনেক আগে থেকেই
হোন্ডা কোম্পানি বাংলাদেশে সকল ভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এখন কথা হল হোন্ডা
কোম্পানির মালিক কে। এই প্রশ্নের উত্তর আমরা সবাই জানলেও অনেকেই আছেন যারা
জানেন না। এছাড়া হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি সে সম্পর্কেও অনেকে জানেন না। তা
আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
একটা কোম্পানির সম্পর্কে যখন আমরা আলোচনা করি তখন কিন্তু প্রথমে আসে সেই
কোম্পানির মালিক কে সে বিষয়টি। হোন্ডা কোম্পানির মালিকের নাম হলো সচিওরো
হোন্ডা। অর্থাৎ তার নামের শেষ টাইটেলকেই কোম্পানির নাম করা হয়। ইনি একজন মহৎ
উদ্যোক্তা। এনার হাত ধরেই এই বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটি আজ বিশ্বজুড়ে সফলভাবে ব্যবসা
করছে। হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি চলুন তাহলে সে বিষয়ে জেনে নেই।
হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি
হোন্ডা জাপানের বৃহৎ অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।
হোন্ডার মূল মালিকানা জাপান অর্থাৎ জাপানের সচিওরো হোন্ডা। হোন্ডা মূলত জাপানি
কোম্পানি এবং এই কোম্পানি বর্তমানে সারাবিশ্বে দক্ষতার সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
ফলে বর্তমানে জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান হোন্ডা। হোন্ডা কোম্পানি
বাইক তৈরি ছাড়াও বিশ্বের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় কার গুলোর ইঞ্জিন তৈরি করে।
বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বেই হোন্ডা বেশ জনপ্রিয়।
হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি তা আমরা জানলাম। হোন্ডা এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা
অন্তরদহ ইঞ্জিন নির্মাণ করে এবং প্রত্যেক বছর প্রায় 14 মিলিয়ন অন্তর্দহ
ইঞ্জিন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। মোটরসাইকেল ও অন্তর্দহ ইঞ্জিন নির্মাণে হন্ডা
বেশ জনপ্রিয়। তাহলে আপনারা জানতে পারলেন হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি।
হোন্ডা বাইক বাংলাদেশ
হোন্ডা বাইক বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। এর কারণ হলো হোন্ডা বাইকের মাইলেজ
ক্যাপাসিটি, টপ স্পিড এবং ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট অনেক ভালো। হোন্ডা বাইকগুলোতে
সাধারনত ফোর স্ট্রোক এয়ারকুলার, সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ট ইঞ্জিন ব্যবহার
হয়। এছাড়া বাইক গুলোর আকর্ষণীয় ডিজাইন এর কারণে বাইক লাভারদের পছন্দের
শীর্ষে হোন্ডা। গ্রাহকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে হোন্ডা কোম্পানি দিনদিন নতুন
ধরনের বাইক বাজারে আনছে।
হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি তা আপনারা উপরে জেনেছেন। হোন্ডা বাইকের এবিএস
ব্রেকিং সিস্টেমের কারণে এবং সর্বোচ্চ পাওয়ার ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি হওয়ার
কারণে বাইকগুলো বেশ জনপ্রিয়। এক কথায় বলতে গেলে হোন্ডার বাইক গুলো সবদিকে
পারফেক্ট। আপনি যদি বাইক কেনার কথা চিন্তা করেন তাহলে নিঃসন্দেহে হোন্ডার বাইক
কিনতে পারেন। এছাড়া বর্তমানে হোন্ডা বাইক গুলোতে বিভিন্ন ডিজিটাল সিস্টেম
যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে কম দামের মধ্যে ভালো মানের হোন্ডা বাইক কিনতে পাওয়া
যায়।
কেন হিরো হোন্ডা থেকে বিচ্ছেদ হয়
এক সময় অনেক দাপট চালিয়েছিল হিরো এবং হোন্ডা। ১৯৮৫ সালে জাপানি ব্র্যান্ড
হোন্ডা এবং ভারতীয় ব্র্যান্ড হিরো এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে হিরো হোন্ডা নামে
বিভিন্ন আকর্ষণীয় বাইক বাজারে নিয়ে আসে। তাদের যৌথ তৈরীর প্রথম বাইক ছিল সিডি
১১০। একসঙ্গে তারা বেশ ভালই ব্যবসা করছিল। কিন্তু হঠাৎ তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে
এবং তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কেন তাদের এই বিচ্ছেদ হয় তা
আমরা এখন জানবো। হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি তা আমরা উপরে আলোচনা করেছি।
আরো পড়ুনঃ আখের চিনির দাম কত টাকান।
হিরো এবং হোন্ডা দুই কোম্পানি মনে করেছিল যৌথভাবে ব্যবসা করলে তাদের ভবিষ্যৎ
অগ্রগতি কম হবে। আন্তর্জাতিক মানে স্থান পাওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে। এরই ফলে উভয়
কোম্পানি তাদের যৌথ ব্যবসা বা যৌথ উদ্যোগ শেষ করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ১৬
ডিসেম্বর ২০১০ সালে বিচ্ছেদের জন্য তাদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। হোন্ডা কোন
দেশের কোম্পানি তা আমরা জানতে পারছি এবং হোন্ডা কোম্পানির সম্পর্কে আরো
বিস্তারিত তথ্য আমরা জেনেছি।
শেষ কথা | হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি
প্রিয় পাঠক, আমরা আমাদের আর্টিকেলে হোন্ডা কোন দেশের কোম্পানি তার সম্পর্কে
বিস্তারিত তুলে ধরেছি। আশা করি আপনারা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের কোন
প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। নিত্য নতুন
বিভিন্ন ধরনের টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের
সাথে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। জব আইডি ২৫৫৯১.
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url