বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত
বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, তা বিয়ের পূর্বে জেনে নিতে হবে। কেননা সেই গুণাবলী অর্জন না করে বিবাহ করা উচিত নয়। বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হবে। আসুন দেখে নেই, বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত।
পেজ সূচিপত্র: বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত
ভূমিকা
বিয়ে করার জন্য বিশেষ কিছু গুণাবলীর প্রয়োজন রয়েছে। যদি এই গুণগুলো আপনার মাঝে থাকে, তাহলে আপনি বিবাহের জন্য উপযুক্ত। পক্ষান্তরে যদি নিম্ন বর্ণিত গুণগুলো আপনার মাঝে না থাকে তাহলে বিবাহ করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সেগুলো অর্জন করতে হবে। বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত
বিবাহ করার জন্য যে সকল গুনাবলী অর্জন করা একান্ত কর্তব্য সেই গুণাবলী সমূহ নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, সেগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়ুন।
- প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া: আপনি যদি বিয়ে করতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অপরিপক্ক বয়সে বিবাহ করলে তা আপনার সাংসারিক জীবনকে অতিশয় যন্ত্রণাদায়ক করে ফেলতে পারে। তাই বিবাহ করার পূর্ব শর্ত হলো প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যদি আপনি সংসারের হাল ধরেন, তাহলে সংসারের ধকল সহ্য করতে পারবেন। পক্ষান্তরে অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সংসারের হাল ধরলে আপনার নাজাহাল অবস্থা হতে পারে।
- আর্থিক স্বচ্ছলতা: বিবাহ করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আর্থিক স্বচ্ছলতা। আপনি যদি আর্থিকভাবে সচ্ছল না হন, তাহলে বৈবাহিক জীবনে সুখী হতে পারবেন না। কেননা আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকার কারণে সাংসারিক দন্ধ-কলহ বেড়ে যাবে। তাই বিবাহের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে হবে। কেননা বর্তমানের সমাজ ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে উঠেছে এই অবস্থায় যদি আপনি আর্থিক স্বচ্ছলতা ছাড়া বিবাহ করেন তাহলে পদে পদে অপমানিত এবং লাঞ্চিত হতে পারেন।
- সহযোগিতামূলক মনোভাব: সংসার করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করতে হবে কেননা একার প্রচেষ্টায় কখনো সংসার হয় না আপনি যদি সকল দায়-দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন আর সাংসারিক কাজে আপনার স্ত্রীকে সহযোগিতা না করেন তাহলে কিন্তু আপনি বিবাহ করার যোগ্য নন। সুতরাং বিবাহ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সহযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করতে হবে।
আরো পড়ুন: ত্বকের সৌন্দর্যে জাফরানের ভূমিকা কি
- সম্মান জানানোর ইচ্ছা থাকা: আপনি মেয়ে হন কিংবা ছেলে, আপনার স্বামী কিংবা স্ত্রীকে অবশ্যই যথাপোযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। সে যতটুকু সম্মান প্রাপ্য আপনি যদি ততটুকু সম্মান তাকে প্রদান না করেন, তাহলে সাংসারিক জীবনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- বিশ্বস্ততা: বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিশ্বস্ততা। আপনি যদি বিবাহ করতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিশ্বস্ত হতে হবে। বিশ্বস্ততা বিবাহের পূর্বশর্ত। আপনি যদি বিশ্বস্ত না হন, সেক্ষেত্রে কিন্তু কখনোই আপনি সংসার করতে পারবেন না। কেননা বিশ্বস্ততা না থাকলে সন্দেহের অবতারণা ঘটবে। আর সংসারে যদি সন্দেহ থাকে তাহলে সংসার কখনোই সুখের হবে না। তাই বিবাহের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে বিশ্বস্ততার মতো সৎ গুণ অর্জন করতে হবে।
- ধৈর্য ধারণ করা: ধৈর্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি গুণ। বিশেষ করে যদি আপনি বিবাহ করতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ধৈর্য ধারণ করার মত ক্ষমতা না থাকলে কখনোই আপনি সংসারী হতে পারবেন না। এবং সংসারে করা দ্বন্দ্ব লেগেই থাকবে। তাই বিবাহ করতে চাইলে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে।
- ছাড় দেওয়ার মন মানসিকতা থাকা: আপনি যদি বিবাহ করার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। যদি এখন আর ছাড় দেওয়ার মানসিকতা না থাকে তাহলে কিন্তু সাংসারিক জীবনে ঝামেলার মুখে পড়তে পারেন। তাই সব ধরনের ঝামেলা এড়াতে ছাড় দেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলুন।
- পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া: বিবাহ করার পরে অবশ্যই আপনাকে আপনার পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। আপনি যদি আপনার পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল না হতে পারেন, তাহলে কিন্তু সংসার টিকবে না। তাই সংসারের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া বিয়ে করার অন্যতম আরেকটি গুণাবলী।
- কোন কাজে বাধ্য না করা: মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই একটু জেদি তাই টাইপের হয়ে থাকে। তাই তারা যদি কোন কাজ করতে না চায়, সেক্ষেত্রে তাদেরকে ফোর্স করা উচিত হবে না। কেননা আপনি যদি ফোর্স করে কোন কাজ করিয়ে নেন, তাহলে কিন্তু সে আপনার প্রতি রুষ্ট হতে পারে। আর এর ফলে সংসারে ঝগড়া লাগার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তাই অবশ্যই কোন কাজ করতে বাধ্য করবেন না।
দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল
বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, আশা করি তার জেনেছেন। কেননা উপরে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তির বিবাহ না হয় তাহলে দ্রুত বিয়ে হওয়ার কিছু আমল রয়েছে। সেগুলো নিচে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হলো।
- সূরা আহযাব, সূরা মুমতাহিনা এবং সূরা তোহা পাঠ করে এক গ্লাস পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি পান করলে দ্রুত বিয়ে হবে বলে আশা করা যায়। - ওয়াজিফ উত্তালীব
- সূরা মুমতাহিনা প্রতিদিন একবার করে ৪১ দিন পাঠ করা। - ওয়াজিফ উত্তালীব।
আরো পড়ুন: আখের চিনির দাম কত টাকা
- তাহাজ্জুদ নামাজের পূর্বে সুরা ইয়াসিনের ৩৬ নম্বর আয়াত ১০০ বার পাঠ করা।
- সূরা ফুরকান ৭৪, ৭৫ এবং ৭৬ নম্বর আয়াত ২১ বার পাঠ করা। এরূপ তিনদিন করতে হবে।
- সূরা তারিক প্রতিদিন তিনবার পড়তে হবে।
স্বপ্নে বিয়ে দেখলে কি হয়
বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উপরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটির এই অংশে স্বপ্নে বিয়ে দেখলে কি হয়? সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক, স্বপ্নে বিয়ে দেখলে কি হয়?
- কোন ব্যক্তি যদি স্বপ্নে নিজেকে বিবাহ করতে দেখে, তাহলে সে ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং সম্পদের অধিকারী হবে।
- স্বপ্নে যদি কোন অপরিচিত পুরুষকে বিয়ে করতে দেখে, তাহলে সেই পুরুষ যদি যুবক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বিবাহকারী তার শত্রুকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করবে। এবং শত্রুর উপরে বিজয় লাভ করবে।
- স্বপ্নে যদি স্বনামধন্য কোন ব্যক্তিকে বিবাহ করতে দেখে কেউ তাহলে ওই ব্যক্তি কল্যাণপ্রাপ্ত হবে।
আরো পড়ুন: ত্বকের সৌন্দর্যে জাফরানের ভূমিকা কি
- কোন নারী যদি তার স্বামীকে আরেকটা বিয়ে করতে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সে কল্যাণপ্রাপ্ত হবে।
- স্বপ্নে যদি কোন ব্যক্তি নিজেকে গর্ভবতী অবস্থায় দেখে তাহলে কল্যাণপ্রাপ্ত হবে। যদি ছেলে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে তার অকল্যাণ হবে। আর মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে তার সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
- স্বপ্নে যদি কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে বিয়ে করতে দেখে তাহলে সে কল্যাণ প্রাপ্ত হবে।
শেষ কথা
বিয়ের জন্য পুরুষের যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, সেই গুণাবলী অর্জন করার পরে যদি আপনি বিবাহ করেন তাহলে দাম্পত্য জীবনের সুখী থাকতে পারবেন। তাই, বিবাহ করার পূর্বে উপরে উল্লেখিত গুণাবলীসমূহ অবশ্যই অর্জন করার চেষ্টা করবেন। গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে, উপকারী বলে মনে হয়, তাহলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url